আজকাল ওয়েবডেস্ক: লিংকনশায়ার ওয়াইল্ডলাইফ পার্ক এখন কার্যত এক ‘গালাগালির চিড়িয়াখানা’! পাঁচজন ‘টিয়া তাণ্ডব’—বিলি, এলসি, এরিক, জেড ও টাইসন—কে আলাদা করা হয়েছে, কারণ তারা নাকি একে অপরকে উসকে দিয়ে দর্শকদের দিকে গালাগাল দিচ্ছিল এবং তারপর নিজেদের মধ্যেই হাসাহাসি করছিল! চিড়িয়াখানার কর্মীরা জানান, এই পাঁচ টিয়াকে একসঙ্গে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। আর সেখানেই যেন বাঁধভাঙা বন্ধুত্ব! একে অপরের মুখে অশ্লীল শব্দ শিখে খিলখিল করে হেসে উঠত তারা।
অশ্লীল সব সব মন্তব্য শুনে দর্শকরা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতেন, আবার কেউ কেউ অপমানে মাথা নিচু করে পালাতেন।
একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আমি খুব জোরে হাসি, এখন আমার টিয়া সেই হাসি নকল করে আমাকেই কটাক্ষ করছে! হাসিও পাচ্ছে, আবার অপমানও লাগছে!” আরেকজন বলেছেন, “ওরা নিশ্চয়ই চিড়িয়াখানার সেলিব্রিটি ছিল।” তবে সবচেয়ে ভয়ংকর অভিযোগ—“এখন আলাদা করে দেওয়ার পর, এরা পাঁচদিকে ভাগ হয়ে অন্য টিয়াদেরও খারাপ কথা শেখাচ্ছে! পার্কের প্রতিটি কোনা থেকেই এখন গালির বৃষ্টি!”
চিড়িয়াখানার এক কর্মী মাথা চুলকে বলেন, “আগে গাইড ছিলাম, এখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দর্শকদের মানসিক সাপোর্ট দিতে হয়—‘না না দিদি, ও পাখির ভাষা বুঝেশুনে নয়…’ এমন দিন দেখতে হবে ভাবিনি!” টিয়াদের এখন একে অপরের থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু আলাদা করলেও লাভ কিছুই হচ্ছে না। তারা এখন ‘গালাগালি ট্রেনিং সেন্টার’-এ রূপান্তরিত হয়েছে। একেকজন একেক এলাকায় বসে স্থানীয় টিয়াদের শেখাচ্ছে—"দেখ ভাই, গাল দিতে জানতে হয়!"
চিড়িয়াখানার পক্ষ থেকে বিবৃতি—“আমরা চেষ্টায় আছি যেন পরবর্তী প্রজন্মের টিয়ারা অন্তত ভদ্র হয়। কিন্তু আপাতত দর্শকদের অনুরোধ, গাল শুনে ব্যক্তিগতভাবে না নিয়ে, বিষয়টিকে হালকা বিনোদন হিসেবেই নিন।”
