আজকাল ওয়েবডেস্ক: টানা ১৮ বছর ধরে নিজের দেহে সাপের বিষ নিয়ে পরীক্ষা করছেন ট্রিম ফ্রিডি নামে এক ব্যক্তি। তিনি এই ১৮ বছরে ৮৫৬ বার সাপের বিষকে নিজের দেহে নিয়েছেন। তার এই মারণ শখ তার দেহে তৈরি করেছে সাপের প্রতিষেধক। নিজের দেহের রক্তেই তৈরি হয়েছে এই প্রতিষেধক।
ছেলেবেলা থেকেই সাপ পোষার শখ ছিল ট্রিমের। তখন থেকেই সাপের বিষকে বের করে নিজের দেহে প্রবেশ করাতেন তিনি। তবে যখন তিনি কোবরা সাপের ছোবল সরাসরি নিজের দেহে নেন তখন প্রায় তিনি মারা যাচ্ছিলেন। চিকিৎসকরা সেযাত্রায় তাকে বাঁচিয়ে তোলেন।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, কোবরার বিষ তাকে প্রায় মেরে ফেলেছিল। এটা সহজ কাজ ছিল না। দেহে তখন আমার প্রতিষেধক ছিল একটি ছোবলের জন্য। তবে দ্বিতীয়টি নয়। ছোবলের পর বহু সময় ধরে জ্ঞান ছিল না।
ট্রিম মনে করে কোবরার ছোবলের আগে তিনি বেশ কয়েকবার অন্য সাপের বিষ নিজের দেহে নিয়েছিলেন। ফলে দেহে তার অ্যান্টিভেনম তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকেই তিনি কোবরা সাপের বিষের মোকাবিলা করেছিলেন।
চিকিৎসকরা মনে করছেন ট্রিম তার এই ১৮ বছরে সবধরণের সাপের বিষকে নিজের দেহে নিয়েছে। সেই তালিকায় ইজিপ্টিয়ান কোবরা, ওয়াটার কোবরা, কোস্টাল তাইপান, ব্ল্যাক ম্যাম্বা ছিল। ফলে তার দেহের রক্তে একধরণের অ্যান্টিভেনম তৈরি হয়েছে যা তাকে একজন বিষপুরুষ তৈরি করেছে।
নিজের সাপের ছোবলের ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করেছেন ট্রিম। সাপের বিষ যে ক্ষতি রক্তে করতে শুরু করে দেয় তার আগেই ট্রিমের দেহে তৈরি হতে থাকে অ্যান্টিভেনম। তার দেহের রক্ত থেকে সাপের বিষের ওষুধ তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাই তারা ট্রিমের রক্ত নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছেন। এই রক্ত থেকে তৈরি হতে পারে বিশ্বের সবথেকে দ্রুত অ্যান্টিভেনম। সেটাই টার্গেট চিকিৎসকদের। এই কাজই তারা করে চলেছেন।
