আজকাল ওয়েবডেস্ক: মানবদেহে তৈরি হয় ডিএনএ থেকে। এর ভূমিকা নিয়ে কারও কোনও প্রশ্ন থাকতেই পারে না। তবে গবেষণা থেকে উঠে এসেছে অন্য তথ্য। যদি মানবদেহে ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে তাহলে সেখান থেকে তৈরি হতে পারে ক্যান্সারের কাহিনী। যদি বহু বছর ধরে আপনার দেহের ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে এবং যদি তাকে মেরামত না করা হয় তাহলে সেখান থেকে অতি দ্রুত দেহে বাড়তে পারে ক্যান্সার।
ওয়েলকাম সাঙ্গার তাদের নতুন একটি গবেষণাকে সামনে রেখেছেন। তারা ৩০০ টি পরিবারের উপর এই পরীক্ষা চালিয়েছেন। তাদের সকলের ডিএনএ নিয়ে তারা আলাদাভাবে পরীক্ষা করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকজন মানুষের দেহের ডিএনএ যথেষ্ট পরিমানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বহু বছর ধরে তারা সেটিকে মেরামত করা বা চিকিৎসা করার কোনও চেষ্টা করেননি। এরপর ধীরে ধীরে সেখান থেকে তাদের দেহে ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএ থেকে তৈরি হয়েছে ক্যান্সার।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যদি আপনার রক্তের কোনও কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে তাহলে সেটি দেহের ভিতরেই থেকে যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। এমন বহু কোষ যদি একসঙ্গে গিয়ে একটি জায়গায় জমা হয় তখন সেখান থেকে তৈরি হতে পারে ক্যান্সার।
নেচার পত্রিকা থেকে জানা গিয়েছে দেহের মধ্যেও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএ থাকে। সেগুলি অনেক সময় বোঝা যায় না। দেহের মধ্যে নানা ধরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও সকলে সেগুলি অগ্রাহ্য করে থাকে। এখান থেকেই জন্ম নিতে পারে ক্যান্সার। ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের উপরেও। ফলে যে কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেগুলি থেকে ক্যান্সার নতুন মাত্রা পেয়ে যায়।
যে পরিবারের উপর এই পরীক্ষা করা হয়েছিল সেখান থেকে দেখা গিয়েছে ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত থাকার ফলে তাদের অনেকের দেহেই ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে। দেহের মধ্যে তৈরি হয়েছে মারণ রোগের বাসা। এটি একদিনে হয়নি। বহু বছর ধরে দেহে জমে থাকবে এই ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএ। এরপর ধীরে ধীরে সে ক্যান্সারের মারণ রোগকে তৈরি করবে।
