আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাত্র সরকারি চাকরি করেন না। তাই বিয়ের মাঝপথেই মণ্ডপ ছেড়ে উঠে গেলেন পাত্রী। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদের। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিয়ের রীতি চলাকালীন পাত্রী জানতে পারেন যে পাত্র সরকারি চাকরি করেন না। এর পরেই ওই তরুণী বিয়েতে মানা করে। এই ঘটনার পর বরযাত্রীদের ফিরে যেতে হয়েছে খালি হাতেই।
কয়েক দিন আগে বিয়ে ছিল ওই তরুণীর। বিয়ের দিন পাত্র-সহ বরযাত্রী গেস্ট হাউসে এসে উঠেছিল। এর পর নানা রীতিনীতি পালনের পর্ব চলছিল। রাত পৌনে একটা নাগাদ বিয়ের মাঝখানেই পাত্রী জানতে পারেন যে পাত্র সরকারি চাকরি করেন না। এর পরেই বিয়ে সম্পন্ন করতে রাজি হন না তরুণী।
পাত্র-পাত্রী দু'জনের পরিবার মিলে ওই তরুণীকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও তাঁকে তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে টলানো যায়নি। তাঁর দাবি, বিয়ের আগে তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে তাঁর বর সরকারি চাকরি পাবে। এত দূর এগিয়ে যাওয়ার পরও বিয়ে করতে অস্বীকার করায় দুই পরিবারের পরিজনেরাই হতবাক হয়ে যায়।
পাত্রীকে বিয়েতে রাজি করানোর জন্য বরের পরিবার তাঁকে মাইনের রসিদ পর্যন্ত দেখাতে রাজি হয়। পাত্র তাঁর অফিসে ফোন করে সেই রসিদের ব্যবস্থা করেন। তাতে দেখা যায়, মাসে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা উপার্জন করেন ওই যুবক। এর পরেও বিয়েতে রাজি করানো যায়নি তরুণীকে। অন্যথায় বিয়ে বাড়ি ছেড়েই চলে যান পাত্র এবং বরযাত্রীরা সকলে। যা খরচ হয়েছে তা দুই পরিবার মিলে ভাগাভাগি করে নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় কোনও পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়নি।
