আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একাধিক আবেদন জমা পড়েছে। বুধবার সেই সবক'টি আবেদনের একসঙ্গে শুনানি হবে। ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম নিয়েছে। বিরোধীদের যুক্তি,  আইনটি মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে এবং সম্পত্তি দখলের প্রচেষ্টা। যদিও সরকারের দাবি, ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য এই সংশোধনী অপরিহার্য।

মোট ৭৩টি মামলার শুনানি হবে বুধবার। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথন। বুধবার দুপুর ২টো থেকে আবেদনগুলির শুনানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ১৯৯৫ সালের মূল ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে হিন্দু পক্ষের দায়ের করা দুটি আবেদনও এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত। অন্যগুলি সাম্প্রতিক সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কিছু আবেদনকারী আদালত মামলার নিষ্পত্তির সময় আইনটির উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশও চেয়েছেন।

আবেদনকারীদের মধ্যে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআই, জগন মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআরসিপি, সমাজবাদী পার্টি, অভিনেতা বিজয়ের টিভিকে, আরজেডি, জেডিইউ, আসাদুদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএম, এএপি এবং ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ সহ বিভিন্ন দলের নেতারা রয়েছেন। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদনকারীদের যুক্তি, এটি মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং তাদের ধর্মীয় মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে।

অন্যদিকে, সাতটি রাজ্য এই আইনের সমর্থনে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে মামলায় হস্তক্ষেপ করার জন্য। তাদের যুক্তি, এই আইনটি সাংবিধানিকভাবে সুষ্ঠু, বৈষম্যমূলক নয় এবং ওয়াকফ সম্পত্তির পরিচালনার জন্য দক্ষ প্রশাসন প্রয়োজন।

কেন্দ্রীয় সরকার মামলায় একটি ক্যাভিয়েট দায়ের করেছে। ক্যাভিয়েট হল কোনও পক্ষের দ্বারা দায়ের করা একটি আইনি নোটিশ যাতে কোনও আদেশ পাস হওয়ার আগে তা শোনা হয়।

সরকার সম্প্রতি ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সংসদের উভয় কক্ষে উত্তপ্ত বিতর্কের মধ্যে পাস হয় বিলটি। গত ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বিলটিতে সম্মতি দিয়েছেন। বিলটির পক্ষে রাজ্যসভায় ১২৮ জন এবং বিপক্ষে ৯৫ জন সদস্যের ভোট পড়ে। লোকসভায় পক্ষে ২৮৮ ভোটে এবং বিপক্ষে ২৩২ ভোট।