আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফিরে এলেন ‘বেওয়াফা সোনম গুপ্তা’। মেঘালয় হত্যাকাণ্ডের পর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা টাইম মেশিনে চড়ে ২০১৬ সালে ফিরে গিয়েছেন। নয় বছর আগের ভাইরাল হয়েছিলেন সোনম। তবে তিনি সোনম রঘুবংশী নন, সোনম গুপ্তা ছিলেন।
২০১৬ সালে একটি দশ টাকার নোট ভাইরাল হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। সেটিতে লেখা ছিল ‘সোনম গুপ্তা বেওয়াফা হ্যায়’ অর্থাৎ সোনম গুপ্তা বিশ্বাসঘাতক। পুরনো সেই মিম ফের একবার ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ব্যবহারকারীর সোনম রঘুবংশী এবং ‘বিশ্বাসঘাতক’ সোনমের মধ্যে তুলনা করতে শুরু করেছেন।
এক্স হ্যান্ডলে একজন লিখেছেন, “সোনমের ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই সবাই জানত। তিনি তো বিশ্বাসঘাতক ছিলেনই। সে রঘুবংশী হোক বা গুপ্তা।“ নস্ট্রাদামুস, বাবা ভাঙার পূর্বাভাস মিললেও সকলে প্রশংসা করছেন সেই মানুষটির যিনি দশ টাকার নোটটিতে লিখেছিলেন, ‘সোনম গুপ্তা বেওয়াফা হ্যায়।’
নোটটি কার ছিল সেটা আজ অবধি জানা যায়নি। অনেকের ধারণা ভালবাসায় আশাহত হয়ে কথাগুলি লিখেছিলেন কোনও ব্যক্তি। সোনম গুপ্ত কে ইন্টারনেট সেটাও জানে না এখনও। ২০১৬ সাল থেকে সেই প্রশ্নের উত্তর অধরা এখনও।
ওই বছরই নোটবন্দির সময় ফের ভাইরাল হয়েছিলেন সোনম। এবার ২০০০ টাকার নোটে। এতটাই ভাইরাল হয়েছিলেন যে, দিশা পাতানি, পিভি সিন্ধু, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে গুগল ট্রেন্ডের শীর্ষে ছিলেন সোনম গুপ্ত। উত্তেজনার পারদ এতটাই তুঙ্গে উঠেছিল যে, বিভিন্ন রেডিও চ্যানেল তাঁকে খোঁজার জন্য প্রচার করা শুরু করেছিল। বিভিন্ন ক্যাফে এবং বার সোনম গুপ্ত নামের মহিলাদের বিন্যামূল্যে খাবার দেওয়া শুরু করেছিল। ২০২১ সালে একটি সিনেমাও তৈরি হয়েছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘কিয়া মেরি সোনম গুপ্তা বেওয়াফা হ্যায়’।
সোনমের পর ভাইরাল হয়েছিল নিশা এবং রাশি-ও। ১০ টাকার নোটে লেখা ছিল, ‘নিশা ১০ জুন আমার বিয়ে, তোমায় ছাড়া আমি বাঁচব না। তোমার জন্য আমি আজ রাত ৯টায় নুহু বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করব- খান।‘ ২০২২ সালে ভাইরাল হয়েছিল একটি ২০ টাকার নোট। সেখানে লেখা ছিল, ‘রাশি বেওয়াফা হ্যায়।‘
