আজকাল ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর ভারতের অপারেশন সিঁদুরে বিধ্বস্ত পাকিস্তান। তবে শনিবার যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরদিনই একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা।
শনিবার রাতে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। নয়াদিল্লির তরফে ইসলামাবাদকে বলা হয়েছে পাকিস্তান ‘পরিস্থিতি বুঝুক’। তবে সাময়িক ভাবে বর্তমানে পরিস্থিতি ঠান্ডা হলেও সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির বাসিন্দারা এখনও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। বিগত কয়েকদিন ধরে চলা গোলাবর্ষণ এবং ড্রোন হামলার রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি অনেকেই।
রবিবার ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে রবিবার একটি পোস্টও করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেখানে জানানো হয়েছে, ‘ভারতীয় বায়ুসেনা অত্যন্ত পেশাদারিত্ব এবং নিখুঁতভাবে অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন তার দায়িত্ব পালন করেছে। অত্যন্ত পরিকল্পিত ও সংবেদনশীলভাবে এই অপারেশন পরিচালিত হয়েছে’। আরও জানানো হয়েছে, যেহেতু অপারেশন এখনও চলছে, একটি বিশদ ব্রিফিং যথাসময়ে করা হবে।
আইএএফ সকলকে অনুমান এবং অপ্রমাণিত তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানাচ্ছে। উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতীয় বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে আঘাত হানে। শনিবারই ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি এক জরুরি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘দুই দেশের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনসের মধ্যে হওয়া সমঝোতা বারবার লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। ভারত এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে’।
