আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'অপারেশন সিঁদুর' অভিয়ানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। এরপরই পর পাঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মাধ্যমে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছিল পাক বাহিনী। কিন্তু, বায়ুসেনার অসামান্য তৎপরতায় স্বর্ণ মন্দিরের কোনও ক্ষতি হয়নি। পাক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র গুলি গুলি করে নামানো হয়। ১৫তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল কার্তিক সি শেষাদ্রি সোমবার এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। 

মেজর জেনারেলের দাবি, ভারতীয় সামরিক-বেসামরিক নির্মাণ, স্বর্ণ মন্দিরের মতো ধর্মীয় স্থানগুলিকে লক্ষ্য করে পাকিস্তান হামলা চালাতে পারে, এই পূর্বাভাস আগেই পেয়েছিল ভারতীয় সেনা। ফলে বাহিনী যেকোনও আক্রমণ প্রতিহত করতে প্রস্তুত ছিল। 

মেজর জেনারেল কার্তিক সি শেষাদ্রি বলেন, "পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও বৈধ লক্ষ্যবস্তু নেই জেনেও আমরা ধারণা করেছিলাম যে, তারা ভারতীয় সামরিক নির্মাণ, ধর্মীয় স্থান-সহ অসামরিক নানা জায়গাকে লক্ষ্যবস্তু করবে। এর মধ্যে স্বর্ণমন্দিরই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছিল। স্বর্ণমন্দিরে অতিরিক্ত প্রতিরক্ষার জন্য ভারতীয় বাহিনীর তরফে অতিরিক্ত আধুনিক বিমান সুরক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।"

পাকিস্তান ৮ মে আগ্নেয়াস্ত্র বোঝাই ড্রোন, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বিমান আক্রমণ চালিয়েছে।

মেজর জেনারেলের কথায়, "আমরা এটি পূর্বাভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিলাম। আমাদের সাহসী এবং সতর্ক বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঘৃণ্য পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয় এবং স্বর্ণমন্দিরকে লক্ষ্য করে সমস্ত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করে।" তিনি বলেন, "আমাদের পবিত্র স্বর্ণমন্দিরে একটা আঁচড়ও লাগতে দেওয়া হয়নি।" 

সেনাবাহিনী সোমবার একটি প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরে যে, কীভাবে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, L-70 এয়ার ডিফেন্স গান-সহ ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির এবং পাঞ্জাবের শহরগুলিকে পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা থেকে রক্ষা করেছিল।

মেজর জেনারেল বলেন যে, সশস্ত্র বাহিনী অপারেশন সিদুঁরের সময় "পরম নির্ভুলতার" সঙ্গে পাকিস্তানের অনেক স্থান লক্ষ্য করে, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির সদর দপ্তর অবস্থিত মুরিদকে এবং বাহাওয়ালপুরের মতো এলাকায় আঘাত করেছিল।

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">May 19, 2025

জেনারেল কার্তিক সি শেষাদ্রি বলেছেন, "এই (নয়টি) লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে, লাহোরের নিকটবর্তী মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈয়বার সদর দপ্তর এবং বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের (জেইএম) সদর দপ্তর অবস্থিত, যেগুলি সম্পূর্ণ নির্ভুলতার সঙ্গে আঘাত করা হয়েছিল। এই হামলার পরপরই, আমরা একটি বিবৃতি জারি করে স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও পাকিস্তানি সামরিক বা অসামরিক পরিকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করিনি।"