আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরনে শাড়ি। মাথায় ঘোমটা। গলায় মঙ্গলসূত্র। দেখে বোঝার নেই, তার আসল পরিচয়। তবে গলার স্বর শুনেই সন্দেহ হয় পুলিশের। সঙ্গে সঙ্গে মহিলা পুলিশ গিয়ে টান মেরে তার ঘোমটা খুলে দেয়। ঘোমটার সঙ্গেই হাতে আসে যুবতীর সেজে থাকা এক দোষীর পরচুলা। হাতেনাতে পাকড়াও করেছে তাকে পুলিশ। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের যোধপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, যুবতী সেজে থাকা ওই যুবকের আসল নাম দয়াশঙ্কর। ১৩টি ক্রিমিনাল কেস রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মেয়েদের শ্লীলতাহানি, চুরি, লোকজনকে মারধর করা এবং খুনের হুমকি দেওয়ার মতো একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দীর্ঘ কয়েক মাস তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অবশেষে গত বুধবার তাকে নিজের বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করেছে তারা। 

 

পুলিশ জানিয়েছে, দয়াশঙ্কর অপরাধের ঘটনা ঘটানোর পরেই 'বিটিয়া' নামে ঘুরত। একমুহূর্তে বদলে ফেলত নিজের চেহারা। শাড়ি, মঙ্গলসূত্র পরে ঘুরত। ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে রাখত। সবসময় ঘোমটার আড়ালেই থাকত। তাই অলিগলি খুঁজেও দয়াশঙ্করকে ধরতে পারত না কেউ। 

 

গত বুধবার হরিজন বস্তিতে বাড়িতে গিয়ে দয়াশঙ্করের খোঁজ করে পুলিশ। সেই সময় বিটিয়া সেজে সে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। পুলিশকে জানায়, দয়াশঙ্কর দীর্ঘদিন বাড়িতে নেই। সে কোথায়, তাও সে জানে না। চুলের কাট, গলার স্বর শুনে পুলিশের সন্দেহ হয়। ঘোমটা টানা মেরে সরাতেই দয়াশঙ্করের আসল রূপ প্রকাশ পায়। দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে সে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।