আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রাক্তন প্রেমিকাকে ফিরে পেতে গিয়ে প্রাণ খোয়ালেন এক তরুণ। বশীকরণের সময় আরও টাকার লোভে তরুণকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ঘটনাটি শিভলি এলাকায় ঘটে। রবিবার ২৬ বছর বয়সি এক তরুণকে খুনের অভিযোগে এক তান্ত্রিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বশীকরণের সময় সামান্য কথা কাটাকাটির জেরে তরুণকে খুন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, মৃত তরুণের নাম, রাজাবাবু। তিনি আরশাদ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। রাজাবাবুর প্রাক্তন প্রেমিকা গত এপ্রিল মাসে অন্য এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু মন থেকে প্রাক্তন প্রেমিকার বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। আবারও প্রাক্তন প্রেমিকাকে ফিরে পাওয়ার জন্য তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হন তিনি। 

কানপুরের পুলিশ আধিকারিক শ্রদ্ধা নরেন্দ্র পান্ডে জানিয়েছেন, প্রাক্তন প্রেমিকাকে ফিরে পাওয়ার জন্য তান্ত্রিককে প্রথমে ৩৬ হাজার টাকা দিয়েছিলেন ওই তরুণ। এরপর আরও দেড় লক্ষ টাকা দেন। গত ২৪ নভেম্বর শেষ বশীকরণের জন্য অভিযুক্ত তান্ত্রিক রাজাবাবুকে গ্রামে ডাকে। মদ কিনে খোলা মাঠে দু'জনে যান। সেখানেই ভুয়ো বশীকরণের নামে তরুণকে দিয়ে একটি চিঠি লেখায় ওই তান্ত্রিক। 

সেখানেই আরও টাকা দাবি করে তান্ত্রিক। যা ঘিরে দু'জনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। তখনই বুকে ছুরির কোপ মেরে তরুণকে খুন করে। এরপর তাঁর হাতে ছুরি ও চিঠি রেখে পালিয়ে যায় সে। যা দেখলেই মনে হতে পারে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। সেই তান্ত্রিককে ডেকেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। প্রথমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও, পরে নিজেই খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে। 

প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসেও এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। ভাগ্য ফেরাতে বিশেষ দাওয়াইয়ের কথা জানিয়েছিল এক তান্ত্রিক। তা শুনেই এককথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলেন তুতো ভাই। তাঁর সম্মতি নিয়ে সেই বিশেষ 'নিয়ম' পালন করে তান্ত্রিক। তুতো ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে সে। 'নিয়ম' পালন করেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যে ঘটনা ঘিরে তোলপাড় গোটা রাজ্য। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের সুরাটে। পুলিশ সূত্রে খবর, ভরত নামের এক তান্ত্রিক দিন কয়েক আগে তুতো ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। সেখানেই ভাই ও বৌদির মুখে দুর্দশার কথা শোনে। তখনই দু'জনের ভাগ্য বদলানোর এবং সংসারে সুখ-শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়। সে জানিয়েছিল, একটি বিশেষ 'নিয়ম' পালন করলে বদলে যাবে ভাগ্য। 

এরপরই বৌদিকে ধর্ষণ করে ভরত। তারপরেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। গ্রামবাসীরা চিৎকার, চেঁচামেচি শুনে তান্ত্রিকের পথ আটকায়। তাকে বেঁধে রেখে মারধর করেন। মাথা ন্যাড়া করে দেন। তখনই পুলিশে খবর দেন গ্রামবাসীরা। 

ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত তান্ত্রিক ভরতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এর আগেও ওই গ্রামে একাধিক বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল ভরত। তুতো ভাইয়ের প্রতিবেশীদের সঙ্গেও তার আলাপ ছিল। কুকীর্তি ধরা পড়তেই ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা তাকে মারধর করন।