আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক যুবককে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল তাঁর প্রেমিকা এবং তাঁর বন্ধুদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তরুণীর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার সময় তাঁকে বেশ কিছু সোনার গয়না এবং নগদ টাকা দিয়েছিলেন। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর সেই সব জিনিস ফেরত চেয়েছিলেন ওই যুবক। এর পরেই তাঁকে আক্রান্ত হতে হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবক হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত তরুণী পলাতক।

জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তরুণের নাম শৈলেন্দ্র গুপ্তা। উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের বাসিন্দা পেশায় একজন মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ। সূত্রের খবর, চার বছর আগে কালিপাহাড়ি এলাকার বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। ক্রমে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন দু’জন। এর পরেই একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শৈলেন্দ্র এবং ওই তরুণী। হামিরপুরেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তাঁরা।

শৈলেন্দ্রর দাবি, লিভ-ইনের সময় ওই তরুণীকে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না এবং অনলাইন মারফত চার লক্ষ টাকা নগদ দিয়েছিলেন। শৈলেন্দ্র অভিযোগ, ক্রমে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেন ওই তরুণী। অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয় পড়েন। এরপরেই দু'জনের সম্পর্কে ছেদ পড়েষ পুলিশকে শৈলেন্দ্র জানিয়েছেন, তিনি ঘটনার দিন তাঁর জিনিসপত্র ফেরত নিতে তাঁদের ভাড়া করা বাড়িতে যান। অভিযোগ, আর্থিক লেনদেন নিয়ে তিনি তাঁর প্রাক্তন সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলেন এবং জিনিসপত্র ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তাঁর অভিযোগ, সেই সময় ওই তরুণী এবং তাঁর তিন সঙ্গী সাদাব বেগ, দীপক এবং হ্যাপি  তাঁকে আক্রমণ করেন। শৈলেন্দ্রকে জোর করে বিষ খেতেও বাধ্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। আক্রমণের পর, শৈলেন্দ্রকে গুরুতর অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে জরুরি চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই তরুণী এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ এনেছেন শৈলেন্দ্র। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা পলাতক। খোঁজ শুরু করা হয়েছে।