আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিনে দিনে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। প্রশ্ন উঠছে, শিকড় কতদূর? কার কার সঙ্গে যোগ? কোন কোন খবর নিজের দেশ থেকে পড়শি পাকিস্তানে পাচার করেছেন? 

এসবের মাঝেই উঠে এসেছে বেশকিছু তথ্য। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, জ্যোতির কেবল পাক প্রশাসকদের সঙ্গেই যোগাযোগ ছিল না, যোগাযোগ ছিল একেবারে পাক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে, মরিয়ম নওয়াজ শরিফ পর্যন্ত।

জ্যোতির বেশকিছু ভিডিও এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার একটিতে দেখা গিয়েছে, লাহোরের একটি রেস্তোরাঁয় একদল লোকজনের সঙ্গে জ্যোতি। আরেকটি ভাইরাল ছবিতে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে, পাঞ্জাবের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম শরিফের সঙ্গে দেখা গিয়েছে জ্যোতিকে। মরিয়ম নওয়াজের সঙ্গে তাঁর ছবি, আরও উস্কে দিচ্ছে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ। 

?ref_src=twsrc%5Etfw">May 17, 2025

 হরিয়ানার মেয়ে। ট্রাভেল ভ্লগ বানাতেন ঘুরে ঘুরে। আর তথ্য পাচার করতেন পাকিস্তানে। এককথায় ইউটিউবার থেকে পাকিস্তানের গুপ্তচর। জ্যোতি মালহোত্রার কাহিনী আধুনিক যুদ্ধশাস্ত্রের সংজ্ঞাই পাল্টে দিচ্ছে। শুক্রবার গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জ্যোতিকে। তাঁকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই নজরে জ্যোতি। দিনে দিনে সামনে উঠে এসেছে তাঁর কীর্তিকলাপ।

নজর পরিবারের দিকেও। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থায় জ্যোতির বাবা জানিয়েছেন, মেয়ে যে পাকিস্তানে যাচ্ছেন, ঘূণাক্ষরেও জানতেন না তিনি। জ্যোতির বাবা জানিয়েছেন, মেয়ে বাড়িতে বলে যেতেন ‘দিল্লি যাচ্ছি’। হরিশ মালহোত্রা দাবি করেছেন, তিনি জানতেনই না মেয়ের ইউটিউব চ্যানেলের বিষয়ে। যদিও সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এর আগে হরিশ একবার জানিয়েছিলেন, মেয়ে ভিডিও করার জন্য পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। সেই বক্তব্য থেকে একেবারে উল্টো পথে গিয়ে এখন তাঁর দাবি মেয়ে নাকি ভিডিও করতেন বাড়িতেই।