আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ৪২ বছর পর দেশে ফিরলেন কেরলের বাসিন্দা গোপালন চন্দ্রন। এতগুলো বছর তিনি মধ্য–পূর্বের দেশটিতে আটকে ছিলেন। 


কাজের খোঁজে আজ থেকে ৪২ বছর আগে বাহরিনে গিয়েছিলেন কেরলের বাসিন্দা গোপালন। চার দশক পর তিনি দেশে ফিরতে পেরেছেন প্রবাসী ভারতীয়দের লিগাল সেলের সহায়তায়। 


যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে দেশে ফিরেছেন গোপালন। তারাই গোটা ঘটনা বর্ণনা করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পোস্টে বলা হয়েছে, ১৯৮৩ সালে চাকরির খোঁজে বাহরিন যান গোপালন। পরিবার থেকে গিয়েছিল কেরলে। কিন্তু বাহরিন পৌঁছনোর দুর্ভাগ্যজনকভাবে গোপালনকে যে নিয়ে এসেছিলেন তিনি মারা যান। হারিয়ে যায় গোপালনের পাসপোর্টও। কোনও কাগজপত্র তাঁর কাছে ছিল না। অভিবাসন দপ্তরের নিয়মের বেড়াজালে আটকে পড়েন তিনি। 


পোস্টে বলা হয়েছে, ১৯৮৩ সালে এক যুবক গোপালন চন্দ্রন কেরলের ছোট্ট গ্রাম থেকে বাহরিনের উদ্দেশে পাড়ি দেন। পরিবারের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওই যুবক। কিন্তু জীবনে অন্যরকম কিছু ঘটে যায় তাঁর। তাঁর নিয়োগকর্তা আচমকাই মারা যান। গোপালনের পাসপোর্টও হারিয়ে যায়। ফলে বিদেশে কাগজপত্র ছাড়া অসহায় হয়ে পড়েন তিনি। 


অবশেষে গোপালন দেশে ফিরতে পেরেছেন প্রবাসী লিগাল সেলের সহায়তায়। এই লিগাল সেল বাহরিনে ভারতীয় দূতাবাস ও অভিবাসন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এতগুলো বছর পর গোপালনকে দেশে ফিরতে সাহায্য করেছে। 


বাড়ি ফিরে নিজের ৯৫ বছরের মাকে দেখে চোখের জল আটকাতে পারেননি গোপালন। সেই মা যিনি এতগুলো বছর ধরে ছেলের পথ চেয়ে বসেছিলেন। বাহরিন থেকে কোনও ব্যাগ ছাড়াও ভারতে ফিরেছেন গোপালন। পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে পেরে এখন খুশিতে ডগমগ গোপালন।