আজকাল ওয়েবডেস্ক: উচ্চশিক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পরিবারকে জানিয়েছিলেন, কিশোরীর পড়াশোনার দায়িত্ব তার। চিকিৎসককে বিশ্বাস করে, তার কাছেই মেয়েকে রেখেছিলেন মা। এর তিনদিন পরেই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশায়। পুলিশ জানিয়েছে, ২৩ জুন গাঞ্জাম জেলায় বৈদ্যনাথপুর থানা এসে এক মহিলা জানান, তাঁর বোনঝিকে ধর্ষণ করেছে এক ভুয়ো চিকিৎসক। অভিযুক্ত ভবানী শঙ্কর দাস বাজপেয়ী আরোগ্যদাম ক্লিনিকের চিকিৎসক।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নির্যাতিতার মা ওই চিকিৎসকের খোঁজ পান এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর থেকে। সেই মহিলা জানান, ওই চিকিৎসক গরিব, দুঃস্থ ছাত্রদের বিনামূল্যে থাকা এবং পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দেয়। এরপর মেয়েকে নিয়ে সেই চিকিৎসকের কাছেই যান। তাকে প্রতিশ্রুতি দেয়, ১৭ বছরের কিশোরীকে ট্রেনিং দিয়ে নার্স তৈরি করবে। বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থাও করে দেবে।
২০ জুন সেখানে থাকতে যায় কিশোরী। প্রথম তিনদিন সব ঠিক ছিল। ২৩ জুন রাতেই ঘটে বিপত্তি। সেদিন সন্ধ্যায় চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়েছিল কিশোরী। তারপর তার সঙ্গে বাড়িতে যায়। সেখানে চিকিৎসকের অ্যাসিস্ট্যান্ট জল খেতে দেয় কিশোরীকে। সেই জল খেয়েই জ্ঞান হারায় কিশোরী। এরপরই কিশোরীকে ধর্ষণ করে চিকিৎসক।
সেই রাতে জ্ঞান ফিরতেই আত্মীয়ের বাড়িতে পালিয়ে আসে কিশোরী। রাতেই থানায় অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে, ভুয়ো ডিগ্রি দিয়ে ওই চেম্বার খুলেছিল ব্যক্তি। এই ঘটনায় দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট সহ ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্ত এখনও জারি রয়েছে।
