আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের এনজিও খাতে বিদেশি অনুদানের বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে জর্জ সোরোসের সংস্থা Soros Economic Development Fund (SEDF)-এর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।

তদন্তে উঠে এসেছে যে, SEDF ভারতীয় তিনটি সংস্থা—Rootbridge Services Pvt Ltd (RSPL), Rootbridge Academy Pvt Ltd (RAPL) এবং ASAR Social Impact Advisors Pvt Ltd (ASAR)-কে ২০২০-২১ থেকে ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে প্রায় ২৫ কোটি টাকা দিয়েছে। তবে এই ফান্ডিং এফডিআই (FDI) বা পরামর্শ ফি হিসেবে দেখানো হলেও, এর মাধ্যমে কার্যত বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন (FCRA) লঙ্ঘনের আশঙ্কা রয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, RSPL একাই ১৮.৬৪ কোটি টাকা পেয়েছে, যেখানে শেয়ারের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে ২.৫ থেকে ২.৬ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছে, এটি মূলত FCRA বিধিনিষেধ এড়ানোর একটি ‘ব্যবস্থা’ ছিল।

এছাড়াও, RAPL, যা ২০১৯ সালে এনজিওদের জন্য ফান্ড রেইজিং পরামর্শদাতা হিসেবে গঠিত হয়েছিল, SEDF থেকে ২.৭০ কোটি টাকা পেয়েছে 'কমিশন এজেন্ট সার্ভিস' বাবদ। তবে তদন্তে জানা গেছে, সংস্থাটি কোনো বাস্তব পরিষেবা দেয়নি, বরং FCRA বিধি পাশ কাটানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

ASAR, যা গবেষণা ও জনসচেতনতামূলক কাজ করে, ২.৯১ কোটি টাকা পেয়েছে SEDF থেকে। এটি 'পরিষেবা রপ্তানির' নামে এনজিওগুলোকে অনুদান পাঠানোর গোপন কৌশল হতে পারে বলে সন্দেহ করছে ED।

ইডি আরও জানতে পেরেছে যে, OSI সংযুক্ত Aspada Investment Company, যা মৌরিশাস-ভিত্তিক একটি বিনিয়োগ সংস্থা, গারা এই অর্থের উৎস। এই সংস্থার মাধ্যমে ৩০০ কোটিরও বেশি টাকা ভারতে বিনিয়োগ হয়েছে।

বিজেপি এ বিষয়ে সোরোসকে কটাক্ষ করে বলেছে, তিনি ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামো দুর্বল করার ষড়যন্ত্র করছেন।