আজকাল ওয়েবডেস্ক: বুধবার পাঁচ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে দিল্লি নির্বাচন। দিল্লি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি। দিল্লি বিধানসভার সদস্য সংখ্যা মোট ৭০ জন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টি টানা তৃতীয়বার দিল্লির ক্ষমতা দখল করে। তবে এবার কে ক্ষমতায় আসবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। বিজেপি এবার ক্ষমতা দখল করতে পারে কি না তা নিয়ে শুরু হয়েছে লড়াই।

 

 

দিল্লি একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। নির্বাচিত বিধানসভার পাশাপাশি এখানে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একজন লেফটেন্যান্ট গভর্নরও আছেন। দিল্লিতে ভোটগ্রহণ শুরু হবে সকাল সাতটা থেকে। যোগ্য ভোটাররা নির্ধারিত ব্যালেটে তাদের ভোট দিতে পারবেন। সরকারি তথ্য অনুসারে, দিল্লিতে ভোটগ্রহণ সকাল সাতটা থেকে শুরু হবে। যোগ্য ভোটাররা নির্ধারিত ব্যালটে তাদের ভোট দিতে পারবেন। এরমধ্যে তথ্য বলছে, ৮৩.৭৬ লাখ পুরুষ, ৭২.৩৬ লাখ মহিলা এবং ১ হাজার ২৬৭ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।

 

 

ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য অবশ্যই নির্বাচনী ছবি এবং পরিচয়পত্র কিংবা আধারের মতো সরকারি কোনও পরিচয়পত্র বহন করতে হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে ২২০ টি আধা সামরিক বাহিনি কোম্পানি, ১৯ হাজার হোমগার্ড এবং ৩৫ হাজার ৬২৬ জন দিল্লি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা থাকবে।

 

 

এবারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে আম আদমি পার্টি, ভারতীয় জনতা পার্টি এবং কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী যথাসর্বস্ব প্রচার চালিয়েছেন। কে করবে ক্ষমতা দখল তা নিয়ে রয়েছে টানটান উত্তেজনা।

 

কার কার দিকে থাকবে নজর?

প্রথমেই নজরে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। যিনি আপ প্রার্থী হিসেবে কাজ করছেন। কংগ্রেস নেত্রী অলকা লাম্বা এবং বিজেপির রমেশ বিধুরিও প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। আপের অন্যতম বিশিষ্ট নেতা মনীশ সিসোদিয়া জঙ্গপুরা আসন থেকে জয়ের জন্য প্রার্থী দিয়েছেন। বিজেপির অরবিন্দর সিং মারওয়াহ এবং কংগ্রেসের ফিরহাদ সুরির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন।