আজকাল ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাদ হায়দ্রাবাদের শালিবাহন নগর পার্কে সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তেলেঙ্গানার সিপিআই নেতা চান্দু রাঠোর। সেখানেই তাঁকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃীতিরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব জোন পুলিশ সীমানার অন্তর্গত মালাকপেটের শালিবাহন নগর পার্কে তিন-চারজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি একটি সাদা সুইফট গাড়িতে আসে। সেই সময়ে পার্কে হাঁটছিলেন চান্দু রাঠোর। সিপিআই নেতার চোখ নিশানা করে তাঁরা লঙ্কার গুঁড়ো ছিঁটিয়ে দেয়। রাঠোড় পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তাঁকে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন চান্দু।
আরও পড়ুন- ক্যানসার-ডায়াবিটিস-সহ ৭১টি ওষুধের দাম বেঁধে দিল কেন্দ্র
হামলার পরে আততায়ীরা দ্রুত গাড়িতে করে পালিয়ে যায়। পার্কে এতজন থাকলেও আততায়ীরা যে নির্ভয়ে হামলা চালিয়ে পালাতে সক্ষম হল, তাতেই রীতিমতো হতবাক স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ।
নিহত সিপিআই নেতার অভিয়োগ, নিহত চান্দু রাঠোরের সঙ্গে দেবরুপ্পালার সিপিআই(এমএল) সদস্য রাজেশ নামে এক ব্যক্তির দীর্ঘদিনের বিবাদ ছিল। দুষ্কৃতীরা রাজেশের অনুগামী হতে পারে। বিষয়টি পুলিশকেও তিনি জানিয়েছেন। সেই দিকেও তদন্তের নজর রয়েছে।
মালাকপেট থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছন সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক এবং ফরেনসিক দল। এলাকায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, খুনিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
জানা গিয়েছে, মূলত নাগারকর্ণুল জেলার বালামুরু মণ্ডলের নারসাইপল্লি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন চান্দু রাঠোর। বর্তমানে পরিবার নিয়ে হায়দ্রাবাদের চৈতন্যপুরীতে থাকছিলেন। তিনি রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশের একাংশ জানিয়েছেন। খুনের নেপথ্যে জমিজমা সংক্রান্ত কোনও বিরোধ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোমবার, তেলেঙ্গানার মেডাক জেলার কংগ্রেস পফসিলি সেলের নেতা অনিল মারেলিকে হায়দ্রাবাদের কাছে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ এই মৃত্যুকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে মনে করেছিলেন। তবে সময় এগোতেই এই ঘটনাকে সম্ভাব্য খুন বলেই তদন্ত এগোনো হচ্ছে।
