আজকাল ওয়েবডেস্ক: উৎসবের মরশুম। ঠিক এমন সময়ে উত্তরপ্রদেশের এক পুলিশ কর্তার হৃদয়বিদারক কাজ সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে হাথরাসের এক পুলিশ অফিসার সমস্ত মাটির প্রদীপ (দিয়া) কিনে নিচ্ছেন এক বৃদ্ধা ফেরিওয়ালার কাছ থেকে। তাঁর দোকানে সারাদিনে একজন ক্রেতাও আসেনি। এই সহজ অথচ তাৎপর্যপূর্ণ কাজের মধ্য দিয়ে উৎসবের আমেজে ওই পুলিশ অফিসারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা।
This Dhanteras, Amma’s clay lamps found no buyers. Seeing this, Station In-charge Vijay Gupta bought all her diyas and brightened not just her stall, but her heart too.
— Megh Updates ????™ (@MeghUpdates)
????Hapur, Uttar Pradesh
Let’s take a vow this festive season — to support our local artisans and buy… pic.twitter.com/vyFke1iDphTweet by @MeghUpdates
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্টেশন ইন-চার্জ বিজয় গুপ্ত বৃদ্ধার কাছ থেকে সমস্ত মাটির প্রদীপ কিনছেন। বৃদ্ধা এত প্রদীপ বিক্রি করতে না পারায় কষ্ট পাচ্ছিলেন।
এই ভিডিওটি নেটমাধ্যমে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। এটি এক্স প্ল্যাটফর্মে @MeghUpdates নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা ছিল, "এই ধনতেরাসে বৃদ্ধা মায়ের মাটির প্রদীপ কিনতে কেউই আসেনি। এই দেখে স্টেশন ইন-চার্জ বিজয় গুপ্ত তাঁর সমস্ত প্রদীপ কিনে নেন। বৃদ্ধা অত্যন্ত আনন্দিত। আসুন, আমরা এই উৎসবের মরশুমে স্থানীয় কারিগরদের সমর্থন করার এবং 'মেড-ইন-ইন্ডিয়া' পণ্য কেনার সংকল্প করি।"
ফুটেজে মুহূর্তটি ধরা পড়েছে যখন গুপ্ত তাঁর এক জুনিয়রকে সঙ্গে নিয়ে বৃদ্ধার দোকানে আসেন এবং তাঁর কাছ থেকে সমস্ত প্রদীপ কিনে নেন। বৃদ্ধা ফেরিওয়ালা জানান, পুলিশ আধিকারিকেরা আসার আগ পর্যন্ত সারাদিনে একজন ক্রেতাও তাঁর দোকানে আসেননি। আবেগে আপ্লুত হয়ে তিনি তাঁদের আশীর্বাদ করেন, "আমার আশীর্বাদ তোমাদের হৃদয়ে থাকুক। তোমরা দীর্ঘজীবী হও"। বৃদ্ধা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ভিডিওর একদম শেষে, অফিসার তাঁকে ১০০০ টাকাও দেন।
সম্প্রতি এই ক্লিপটি অনলাইনে প্রশংসার বন্যা বইয়ে দিয়েছে। নেটপাড়া ওই অফিসারের সহানুভূতি এবং সংবেদনশীলতার জন্য তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক জন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, "স্টেশন ইন-চার্জ বিজয় গুপ্তের এই কাজ সত্যিই খুব হৃদয়স্পর্শী। এই বিশ্বে যখন বেশিরভাগ মানুষই কেউ কাউকে দেখেনা, পাশ কাটিয়ে চলে যায়, সেখানে তাঁর এই সামান্য কাজ বৃদ্ধা ফেরিওয়ালার গোটা দিনকে আলোকিত করে তুলল। তাঁকে উৎসবমুখর করে তুলল। এই ধরনের সহমর্মিতা মানবজাতির প্রতি পুনরায় আস্থা ফিরিয়ে আনে।"
কমেন্ট সেকশনে আরেক জন লিখেছেন, "বিজয় গুপ্ত কী অসাধারণ কাজ করলেন! এই উৎসবের মরশুমে স্থানীয় কারিগরদের সমর্থন করা সত্যিই মানুষের জীবনে আলো নিয়ে আসে।" "চোখে জল এনে দিল। আমাদের উৎসবগুলো তো আসলে ভালোবাসা, সহানুভূতি আর বিনয়েরই রূপ " যোগ করেছেন তৃতীয় এক ব্যবহারকারী। চতুর্থ এক জন লিখেছেন, "আপনার জন্য গর্বিত স্যার।"
