আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাসের শুরুতেই সুখবর। দাম কমল রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের। আজ, , সোমবার(১ ডিসেম্বর, ২০২৫) থেকেই নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। কত কমল গ্যাস সিলিন্ডারের দাম?
১৯ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১০ টাকা কমানো হয়েছে। এর আগে নভেম্বর মাসে ১৯ কেজির সিলিন্ডারের দাম পাঁচ টাকা কমানো হয়েছিল। তবে দাম বেড়েছিল অক্টোবরে। এক ধাক্কায় ১৬ টাকা দাম বাড়নো হয়েছিল। যদিও, সেপ্টেম্বরে সিলিন্ডার পিছু দাম কমেছিল ৫১ টাকা।
একনজরে দেশের চার মেট্রোপলিটান শহরে সংশোধিত দাম:
- দিল্লি: জাতীয় রাজধানীতে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম এখন ১,৫৮০.৫০ টাকা হবে, যা গত মাসে ছিল ১,৫৯০.৫০ টাকা।
- কলকাতা: নতুন দাম ১,৬৮৪ টাকা, যা গত মাসে ছিল ১,৫৪২ টাকা।
- মুম্বই: দাম গত মাসে ১,৫৪২ টাকা থেকে কমে ১,৫৩১.৫০ টাকা হয়েছে।
- চেন্নাই: সিলিন্ডারের দাম এখন ১,৭৩৯.৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১,৭৫০ টাকা।
১৯ কেজির বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমলেও, গৃহস্থের বাড়িতে ব্যবহৃত ১৪.২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দামে কোনও বদল হয়নি।
একনজরে দেশের চার মেট্রোপলিটান শহরে ১৪.২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম:
- দিল্লি: ৮৫৩ টাকা।
- কলকাতা: ৮৭৯ টাকা।
- মুম্বই: ৮৫২.৫ টাকা।
- চেন্নাই: ৮৬৮.৫ টাকা।
জ্বালানি খুচরা বিক্রেতারা প্রতি মাসে এলপিজির দাম সংশোধন করে। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (আইওসি), ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (বিপিসিএল) এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (এইচপিসিএল) সাধারণত প্রতি মাসের ১ তারিখে রান্নার গ্যাসের দাম ধার্য করে।
প্রতি মাসের শুরুতেই দেশের অয়েল মার্কেটিং সংস্থাগুলি আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়াম পণ্যের দামের তুল্যমূল্য বিচার করে। আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়ামের দামের বিচারে দেশীয় বাজারে এলপিজি ও পেট্রোলিয়ামজাত অন্যান্য পণ্যের দাম ধার্য করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কীভাবে নির্ধারণ করা হয়?
ভারতে, এলপিজির দাম "ইমপোর্ট প্যারিটি প্রাইস" (আইপিপি) মডেলের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। এই মডেলটি আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের দাম, ডলার-থেকে-রুপির বিনিময় হার, মালবাহী চার্জ, বিমা, শুল্ক এবং অন্যান্য করের উপর নির্ভর করে। যেহেতু কর এবং পরিবহন খরচ রাজ্যভেদে ভিন্ন, তাই এলপিজির দামও রাজ্যভেদে ভিন্ন। উপরন্তু, পাহাড়ি এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের খরচ বেশি, যার ফলে সেই অঞ্চলগুলিতে দাম বেড়ে যায়।
