আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেজরিওয়ালের হ্যাট্রিক করা হল না। দেশের রাজধানীতে তৃতীয় দফায় ফেরার আগেই, ধরাশায়ী আম আদমি পার্টি। ২৭ বছর পর রাজধানীতে বিজেপি। আভাস যে একেবারেই পাওয়া যায়নি আগে, তেমনটা নয়। লোকসভা ভোটে দিল্লিতে বিজেপির ফলাফল দেখে আন্দাজ করা গিয়েছিল কিছুটা। আপ-এর হারের কারণ হিসেবে অনেকে বলছেন দুর্নীতি, অনেকে বলছেন শিশমহলের কথা। দুর্নীতির মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়াল জেল থেকে ফিরে আসার পরেও, শিশমহল বিতর্কে জেরবার ছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, জনগণের টাকা বাসভবনের সজ্জায় খরচ করেছেন কেজরি।


প্রশ্ন ছিল, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী কি থাকবেন শিশমহলে? সূত্রের খবর, বিজেপির পক্ষ থেকে যিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন, তিনি নাকি সিভিল লাইনসের ফ্ল্যাগস্টাফ রোডের বাংলো শিশমহলে থাকবেন না। 


মুখ্যমন্ত্রী পদের মুখ ঘোষণা না করেই দিল্লির নির্বাচনে লড়াই করেছিল বিজেপি। ২৭ বছর পর মিলেছে ঐতিহাসিক জয়। কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? তা নিয়ে  গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও জোর আলোচনা। মুখ্যমন্ত্রী পদে যোগ্যকে নির্ধারণের জন্য ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। পাঁচজন নেতা মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছেন বলে সূত্রের খবর। 


নতুন দিল্লি আসনে কেজরিওয়ালকে পরাজিত করে 'জায়ান্ট কিলার' হিসেবে আবির্ভূত হওয়া পারভেশ ভার্মা দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে বলে খবর। এতদিন দিল্লি বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী প্রবীণ বিজেপি নেতা বিজেন্দ্র গুপ্ত, রাজ্য সভাপতি এবং  গুরুত্বপূর্ণ ব্রাহ্মণ মুখ সতীশ উপাধ্যায়ও রয়েছেন দৌড়ে। এছাড়াও দিল্লি বিজেপির সাধারণ সম্পাদক আশীষ সুদ এবং বৈশ্য সম্প্রদায়ের একজন শক্তিশালী আরএসএস নেতা জিতেন্দ্র মহাজনও রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আলোচিত পদপ্রার্থী তালিকায়।


বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর থেকে ফিরে আসার পরই দল উপ-রাজ্যপালের কাছে গিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানাবে। তারপর হবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। দিল্লি বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে। তিনি শীর্ষ পদে নতুন মুখ আসার সম্ভাবনাও উল্লেখ করেছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য জাতীয় নেতৃত্ব কোনও মহিলা প্রার্থীর উপর বাজি ধরার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি।