আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহারের রাজনীতিতে বারবার নিজের সমর্থন বদলেছেন। আর তাঁর সমর্থন বদল, সিদ্ধান্তের জেরে বদলেছে সে রাজ্যের রাজনৈতিক পটভূমি, সমীকরণ। সম্প্রতি বেশকিছু কারণে রাজনীতির আঙিনায় তাঁকে নিয়ে চর্চা চলছিলও। তবে নীতীশ কুমারের দলের সিদ্ধান্তে এবার প্রশ্ন উঠছে, রাজনীতিতে ফের কি সমীকরণ বদলের পথে হাঁটছেন তিনি?
প্রশ্নের মূলে রয়েছে নীতীশের দল জেডি(ইউ)-এর সিদ্ধান্ত। মণিপুরের সরকার বিজেপি পরিচালিত। সে রাজ্যে জেডি(ইউ)-এর বিধায়কও ছিলেন। কিন্তু এবার বীরেন নেতৃত্বাধীন মণিপুর সরকারের উপর থেকে নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছে জনতা দল। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর তেমনটাই।
জানা গিয়েছে, ওই এক বিধায়কও জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর সঙ্গে থাকবেন না আর। এবার থেকে তিনি বসবেন বিরোধী বিধায়কদের সঙ্গে। বুধবার সে রাজ্যের রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লাকে চিঠি লিখে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, সে রাজ্যে নীতীশের দলের একমাত্র বিধায়ক মহম্মদ আব্দুল নাসিরকে বিরোধী বিধায়ক হিসেবে গণ্য করা হোক। উল্লেখ্য, ২০২২-এর মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশের দল ছ’ টি আসন জিতেছিল। কয়েকমাস পর পাঁচজন বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করেন।
নীতীশের দলের সমর্থন প্রত্যাহার কিংবা ওই এক বিধায়কের শাসক পক্ষ থেকে বিরোধী পক্ষে সরে যাওয়ায় মণিপুরের সরকার কিংবা রাজনীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে নীতীশের এই সিদ্ধান্ত কি বিজেপির উপর মণিপুর নিয়ে চাপ বাড়ানো? উঠছে প্রশ্ন।
একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, এই সিদ্ধান্ত কেন নীতীশের দলের? কারণ শুধু মণিপুর এখানে আলোচনার কারণ নয়। দেশে এবং বিহারে বিজেপির জোটসঙ্গী জেডি(ইউ)। বিহার ভোটের আগে বিজেপি শাসিত রাজ্যের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার কি নীতীশের রাজনীতির সমীকরণ বদলের কোনও ইঙ্গিত? উঠছে প্রশ্ন।
