আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক রত্তি শিশুর বয়স মাত্র দেড় বছর। অথচ কালা জাদুর প্রভাবে পরে মা তাঁকে বলি দিল। এরপর বুক চিরে বের করল হৃৎপিণ্ড। সেই হৃদপিণ্ড কেটে পিস পিস করে রান্না করে সেটাই খেল। এরপর প্রসাদ হিসেবে সেই মাংসপিণ্ড খাওয়ালো তান্ত্রিককেও। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পালামৌর খাদারপার গ্রামে। 

 

 

 

ওই মহিলার নাম গীতা দেবী। জানা গিয়েছে, তিনি পালামৌর খাদারপাড় গ্রামের বাসিন্দা। শুধু মেয়েকে খুন করে খেয়েছেন এমনই নয়, বলি দেওয়ার পর নৃশংস হয়ে নাচতে থাকেন। তাঁর বিশ্বাস, এই ধরনের কাজ করলে পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। ভগবান তাঁকে অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা দান করবে। 

 

 

নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটে ১২ নভেম্বর রাতে। সেদিন সন্ধ্যেয় ওই গ্রামের বাসিন্দা অরুণ রামের স্ত্রী গীতা দেবী কোলের মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। স্বামীকে ফোনে জানান, তিনি স্থানীয় বাজারে যাচ্ছেন। গীতার স্বামী দিল্লিতে কাজ করেন। বাড়িতে গীতা থাকেন তাঁর শাশুড়ি এবং চার সন্তানের সঙ্গে। তখন প্রায় মাঝরাত, উলঙ্গ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন গীতা। তাঁকে ওই অবস্থায় দেখে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। মেয়ে কোথায় জানতে চায় পরিবারের লোকেরা। প্রথমে মুখ খোলেনি গীতা। পরে চাপাচাপিতে সে জানায়, মেয়েকে খুন করেছে সে। এটাই তন্ত্রসাধনার অংশ। 

 

 

খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ গীতা দেবীকে গ্রেপ্তার করেছে। এই নৃশংস কাজের সঙ্গে জড়িত তান্ত্রিককে খুঁজছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বিহারের সাসারামের বাসিন্দা এই তান্ত্রিক। তিনি গ্রামের মানুষের মগজধোলাই করেছিলেন এই তন্ত্র সাধনার মধ্যে দিয়ে। বলতেন, এই সাধনা করলে অনেক ফল পাওয়া যায়। গীতাদেবী পুলিশকে জানিয়েছেন, যদি তিনি ধরা না পড়তেন, তাহলে পরেরদিনই তাঁর নিজের শরীরে জন্মানো ক্ষমতার বলে তিনি মেয়েকে বাঁচিয়ে তুলতে পারতেন। এই ঘটনায় হতবাক গ্রামবাসীরা।