কেশর (জুনাগড়): গুজরাট রাজ্যে খুব কম শহরই আছে যেখানে জুনাগড়ের মতো বৈচিত্র্য রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই শহরের বেশিরভাগ আকর্ষণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তবে, সরকারকর্তৃক বেশ কয়েকটির রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। জনসাধারণের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য সেই সব স্থান উন্মুক্ত। জুনাগড় হল সেই জায়গা যেখানে 'আমের রানি' কেশর চাষ করা হয় এবং সারা দেশে বিতরণ করা হয়।
2
9
ল্যাংড়া (বেনারস): উত্তরপ্রদেশে গঙ্গার তীরে অবস্থিত এবং বিশ্বের প্রাচীনতম শহরগুলির মধ্যে একটি হল বেনারস। এটিকে প্রায়শই 'ভারতের ধর্মীয় রাজধানী' বলা হয়। বহু বছর ধরে দেশের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এটি। বেনারস ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থানগুলির মধ্যে একটি এবং সারা বছর ধরে ভক্তরা এখানে আসেন। সুস্বাদু আমের জাত 'ল্যাংড়া' বা 'মালদা' এই শহরে চাষ করা হয়।
3
9
চৌষা (কুরুক্ষেত্র): কুরুক্ষেত্রের আক্ষরিক অর্থ হল 'ধার্মিকতার ক্ষেত্র'। এটি কেবল পৌরাণিক ইতিহাস এবং ভগবদ গীতার জন্যই বিখ্যাত নয়, বরং একটি বিখ্যাত আম 'চৌযা' চাষের জন্য বিখ্যাত। এটি সেই স্থান যেখানে কৌরব এবং পাণ্ডবদের মধ্যে মহাভারতের ঐতিহাসিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। কুরুক্ষেত্র হিন্দুদের জন্য একটি পবিত্র স্থান এবং সারা বছর ধরে এখানে প্রচুর তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের ভিড় থাকে।
4
9
বাদামি (বগলকোট): বাদামি হল কর্ণাটক রাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় আমের জাত। এটিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাজ্যের নিজস্ব আলফনসোও বলা হয়। এই আমের জাতের স্বাদ এবং গঠন প্রায় আলফনসোর মতো। এই কারণেই এটি বিপুল সংখ্যক মানুষের পছন্দ। কর্ণাটকের বাদামি শহরের নামে এই আমের নামকরণ করা হয়েছে। বাদামি আম পাওয়ার সেরা মরসুম হল এপ্রিল থেকে জুন মাস।
5
9
সফেদা (বঙ্গনাপল্লী): সফেদা আমের আরও একটি জনপ্রিয় নাম হল বঙ্গনাপল্লী। এই আমগুলি অন্ধ্রপ্রদেশে জন্মায়। খানিকটা হলুদ রঙের আভা থাকে আমের দেহে। এই আমগুলি আঁশবিহীন এবং বেশিরভাগই ম্যাঙ্গো শেক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। সফেদা আম আকারে বিশাল হয়। প্রতিটি আমের ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রামের কাছাকাছি হয়। এই আমগুলি মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের মধ্যে পাওয়া যায়।
6
9
তোতাপুরী (দক্ষিণ ভারত): এটি একটি অনন্য জাতের আম যা আকারে বিশাল এবং দেখতে তোতাপাখির মতো। এর একটি প্রান্তটি সূক্ষ্ম এবং মোটা খোসা বিশিষ্ট। তোতাপুরি আম সাধারণত দক্ষিণ ভারতে চাষ করা হয়। গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের মতো পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে বেশ জনপ্রিয় এই আম।
7
9
নীলম (গোটা ভারত): ভারতের প্রায় সব জায়গায়ই নীলম আম চাষ করা হয়। তবে, নীলমের সবচেয়ে ভাল জাতের আম অন্ধ্রপ্রদেশে জন্মায়। যদিও নীলম আমের মরসুমে খুব তাড়াতাড়ি আসে। এই আম জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই পাওয়া যায়।
8
9
দশেরি (উত্তর ভারত): দশেরি হল এক ধরণের রসালো আম যা মূলত উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশ এবং নেপাল ও পাকিস্তানের মতো দেশে জন্মায়। এই আমটি প্রথম আঠারো শতকে লখনউয়ের নবাবের বাগানে দেখা যায়। জুন মাস থেকে আমটি পাওয়া যায়। মিষ্টি স্বাদের কারণে আমপ্রেমীদের মধ্যে এটি খুবই জনপ্রিয়।
9
9
হিমসাগর (পশ্চিমবঙ্গ): এটি একটি ব্যতিক্রমীভাবে প্রশংসিত আমের জাত, যার উৎপত্তি পশ্চিমবঙ্গে। স্বাদ এবং সুবাসের দিক থেকে এটি বিশ্বের সকল আমের জাতগুলির মধ্যে সেরা। এই আমের কোনও আঁশ থাকে না এবং সাধারণত মাঝারি আকারের হয়।