আজকাল ওয়েবডেস্ক: আমিষ-নিরামিষ নির্বিশেষে, বাঙালির রান্নাঘরে তেঁতুলের কদর চিরকাল। ফুচকার টকজল থেকে আচার, এই ফলটি যেমন রুচি আনে তেমনই এতে রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগুণও। সংস্কৃতে এই তেঁতুলকেই বলা হয় তিন্তিড়ী।
2
9
১. হজমে সহায়ক: তেঁতুলে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যাসিড ও ডায়াটারি ফাইবার, যা পাচনক্রিয়া মসৃণ করতে সাহায্য করে। খাবার হজমে সমস্যা হলে সামান্য তেঁতুল জল খাবারের সঙ্গে খেলে উপকার মেলে।
3
9
২. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: তেঁতুলে থাকা প্রাকৃতিক রেচক গুণ বা ল্যাক্সেটিভ প্রভাব অন্ত্রের গতিবিধি স্বাভাবিক রাখে। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন, তাঁদের জন্য তেঁতুল একটি সহজ ও কার্যকর প্রাকৃতিক সমাধান।
4
9
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: তেঁতুলে রয়েছে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম, কিন্তু এতে সোডিয়ামের মাত্র বেশ কম। দুই ধরনের খনিজের এই অনুপাত হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
5
9
৪. ওজন কমাতে সহায়ক: তেঁতুলে থাকা হাইড্রোক্সিসাইট্রিক অ্যাসিড ক্ষুধা কমায় এবং ফ্যাট জমা হতে বাধা দেয়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি একটি প্রাকৃতিক পথ্য হিসেবে কাজ করে।
6
9
৫. লিভার ও ত্বকের জন্য উপকারী: তেঁতুলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকেও এনে দেয় উজ্জ্বলতা, দূর করে ব্রণের সমস্যা।
7
9
৬. শরীর ঠান্ডা রাখে: গরমকালে তেঁতুল ভেজানো শরবত শরীরের তাপমাত্রা কমায়। ডিহাইড্রেশন বা হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
8
9
৭. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
9
9
৮. তবে মাথায় রাখবেন, গুণ থাকলেও পরিমিতি বোধ কিন্তু খুবই জরুরি। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পরিমিত পরিমাণে তেঁতুল রাখলে শরীর উপকৃত হয়। তবে বেশি খেলে অ্যাসিডিটি বা দাঁতের ক্ষয় হতে পারে, তাই মেপে খাওয়াই ভাল।