আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফুসফুস দেহের অন্যতম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ফুসফুস প্রতি মুহূর্তে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং শরীর থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড বের করে দেয়।
2
12
ফুসফুসে ময়লা জমার অন্যতম প্রধান কারণ যানবাহনের ধোঁয়া, কলকারখানার বর্জ্য, নির্মাণকাজের ধুলো এবং বাতাসে ভাসমান বিভিন্ন ক্ষতিকারক কণা। এগুলি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপানও ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করে। সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকা টার, নিকোটিন ও অন্যান্য অসংখ্য রাসায়নিক পদার্থ ফুসফুসের কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং সেখানে আঠালো স্তর তৈরি করে।
3
12
ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে সহায়ক ৯টি ডিটক্স ড্রিংক। তবে মনে রাখা ভাল, এগুলি কোনও চিকিৎসাব্যবস্থার বিকল্প নয় এবং গুরুতর সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
4
12
গরম জলে লেবু ও মধু: এক গ্লাস গরম জলে অর্ধেকটা লেবুর রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে সকালে পান করলে এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে এবং ফুসফুসের শ্লেষ্মা কমাতে সাহায্য করে। লেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
5
12
গ্রিন টি: গ্রিন টি-তে থাকা পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে এবং কোষের ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।
6
12
আদা চা: আদা তার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি (প্রদাহরোধী) গুণের জন্য পরিচিত। আদা চা ফুসফুসের শ্বাসনালী থেকে শ্লেষ্মা দূর করতে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস সহজ করতে সাহায্য করে।
7
12
হলুদ দুধ/চা: হলুদে থাকা কারকিউমিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। এটি ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে এবং শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। গরম দুধ বা জলের সঙ্গে হলুদ ও সামান্য গোলমরিচ মিশিয়ে পান করা যেতে পারে।
8
12
পুদিনা চা: পুদিনা শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে এবং শ্বাসকষ্ট লাঘব করতে সাহায্য করে। এর মেন্থল বুকের জমাট বাঁধা কফ তরল করতে পারে।
9
12
ইউক্যালিপটাস চা (বা স্টিম): ইউক্যালিপটাসের তেল বা পাতা থেকে তৈরি চা (খুব অল্প পরিমাণে এবং সতর্কতার সঙ্গে) অথবা গরম জলে এর কয়েক ফোঁটা তেল ফেলে ভাপ নিলে তা শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে ও কফ বের করতে সাহায্য করে। (সরাসরি পানের চেয়ে ভাপ নেওয়া বেশি প্রচলিত ও নিরাপদ)।
10
12
মুললেইন চা: এটি একটি ভেষজ যা ঐতিহ্যগতভাবে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ব্যবহৃত হয়। এটি কফ তরল করে বের করে দিতে এবং ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
11
12
বেরি স্মুদি: বিভিন্ন ধরনের বেরি (যেমন ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি) অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা ফুসফুসকে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। দই বা জলের সঙ্গে মিশিয়ে স্মুদি তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে।
12
12
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান: সাধারণ জল ফুসফুসসহ পুরো শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং শ্লেষ্মা পাতলা করে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। এটি ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য।