আজকাল ওয়েবডেস্কঃ স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ‘গাট হেলথ’ অর্থাৎ গ্যাস্ট্রো এনটেস্টাইনাল হেলথে নজর দিতে বলেন চিকিৎসেরা। সহজ ভাষায় বললে পেটের স্বাস্থ্য। যার মধ্যে পড়ে পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্র এবং কোলন। অন্ত্রের স্বাস্থ্য হজম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাএমনকী মানসিক সুস্থতার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
2
10
সুস্থ থাকতে অনেকেই নিয়মিত সাপ্লিমেন্ট খেয়ে থাকেন। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, হজমশক্তি বাড়ানোর জন্য দামি সাপ্লিমেন্ট নয়, কয়েকটি ভেষজ জিনিসের উপর ভরসা করলেই সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে পারেন। এতে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতির সঙ্গেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ভাল হবে ঘুমও। তাহলে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় কোন কোন উপাদান রাখবেন, জেনে নিন-
3
10
তুলসীঃ আযুর্বেদ মতে তুলসী পাতার মধ্যে রয়েছে একাধিক ভেষজ গুণ। এটির অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট দেহে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যা ডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে। তুলসীর মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা লিভারকে ভাইরাস ও সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া হজম ক্ষমতা বাড়ায়। সকালে তুলসী পাতা চিবিয়ে কিংবা চায়ে দিয়ে খেলে লিভারের বিভিন্ন সমস্যা কমে।
4
10
কারি পাতা- শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে কারি পাতা। এতে রয়েছে ভিটামিন এ ও সি। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কারিপাতা ভাল ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে অস্ত্রের স্বাস্ত্র্য ভাল রাখে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমদ্ধ কারি পাতা খেলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। দৈনন্দিন রান্নায় ব্যবহার করে কিংবা সকালে কারিপাতা চিবিয়ে খেতে পারেন।
5
10
মেথিঃ মেথি বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মেথি উপকারী অন্ত্রের জীবাণু বৃদ্ধি করে এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে অন্ত্রের ভাল ও খারাপ ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়, তাও ঠিক করতে পারে। মেথি বীজ অঙ্কুরিত করে স্যালাড কিংবা তরকারিতে যোগ করতে পারেন।
6
10
পুদিনা পাতা- পুদিনা পাতা স্বাস্থ্যেরও জন্য খুবই উপকারী। পুদিনা পাতায় মেন্থল থাকে, যা পেট ফাঁপা এবং পেটে ব্যথার মতো লক্ষণগুলি উপশম করতে কার্যকরী। ফ্যাটি লিভার দূর করতেও পুদিনা পাতার জুড়ি মেলা ভার। সঙ্গে লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে এই পাতা। খাওয়ার পর টাটকা পুদিনা পাতা দিয়ে ভেষজ চা বানিয়ে খেতে পারেন।
7
10
সজনে পাতাঃ সজনে পাতা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে উপকারী। গবেষণা বলছে, সজনে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য ঠিক রাখে এবং হজমশক্তি বাড়ায়। স্যুপ, তরকারি বা স্মুদিতে টাটকা বা শুকনো সজনে পাতা যোগ করতে পারেন।
8
10
অ্যালোভেরাঃ ঔষধি গুণে জনপ্রিয় ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা বাড়ায় এবং পাচনতন্ত্র থেকে ক্ষতিকারক পরজীবীকে বের করে দেয়। জলে কিংবা জুসে মিশিয়ে অ্যালোভেরা জেল খেতে পারেন।
9
10
দইঃ টক দইয়ে প্রোবায়োটিক থাকে, যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ঘরে তৈরি দই নিয়মিত খেলে পেটের সমস্যা, যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, এবং গ্যাস অম্বল কমে। তবে বাজার থেকে কিনে নয়, ঘরে পাতা দই খাওয়ার চেষ্টা করুন।
10
10
কিমচিঃ বিভিন্ন সবজি মজিয়ে আচারের মতো করে তৈরি করতে হয় বিশেষ এই খাবারটি।কিমচি প্রোবায়োটিকের ভাল উৎস।নিয়মিত ডায়েটে এই স্যালাড রাখলে শরীরে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। কিমচি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বাড়িতে তৈরি কিমচি খাবারের সঙ্গে সাইড ডিশ হিসাবে খান।