মূত্রত্যাগের পরেও ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব নির্গত হওয়াকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় "পোস্ট-মিকচুরিশন ড্রিবলিং" বলা হয়। এছাড়াও, পুরুষদের ক্ষেত্রে একে "টার্মিনাল ড্রিবলিং"-ও বলা হয়ে থাকে। কিন্তু কেন হয় এমন? কোনও গভীর সমস্যার লক্ষণ নয় তো?
2
14
প্রোস্টেট গ্রন্থির সমস্যা: পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে গেলে মূত্রনালীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে, যার ফলে মূত্রত্যাগের পরেও কিছু প্রস্রাব মূত্রনালীতে থেকে যায় এবং ফোঁটা ফোঁটা করে বার হয়।
3
14
প্রোস্টেট ক্যানসার বা প্রোস্টাটাইটিস (প্রোস্টেট গ্রন্থির প্রদাহ) এর কারণেও এই সমস্যা হতে পারে।
4
14
মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই): মূত্রনালীর সংক্রমণ হলে মূত্রনালীতে প্রদাহ হয়, যার কারণে মূত্রত্যাগের পরেও ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব বার হতে পারে। মূত্রনালীর সংক্রমণের অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালা, ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ এবং তলপেটে ব্যথা।
5
14
মূত্রথলির দুর্বলতা: মূত্রথলির পেশী দুর্বল হয়ে গেলে মূত্রথলি সম্পূর্ণভাবে খালি হতে পারে না, ফলে মূত্রত্যাগের পরেও কিছু প্রস্রাব থেকে যায় এবং ফোঁটা ফোঁটা করে নির্গত হয়। এটি সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
6
14
স্নায়ুর সমস্যা: কিছু স্নায়ুর সমস্যা মূত্রথলির নিয়ন্ত্রণকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে মূত্রত্যাগের পরেও ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব বের হতে পারে।
7
14
অন্যান্য কারণ: ডায়াবেটিস বা মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
8
14
মূত্রনালীতে পাথর বা অন্যান্য বাধা থাকলে মূত্রত্যাগের পরেও ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব বের হতে পারে।
9
14
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন? যদি মূত্রত্যাগের পরেও ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব নির্গত হয় এবং এর সঙ্গে অন্যান্য লক্ষণ, যেমন ব্যথা, জ্বালা বা ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
10
14
যদি প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত পড়ে বা মূত্রত্যাগ করার সময় তলপেটে তীব্র ব্যথা হয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যান।
11
14
চিকিৎসা: যদি প্রোস্টেট গ্রন্থির সমস্যা থাকে, তাহলে ওষুধ বা সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে।
12
14
মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকে এমন ঘটনা ঘটলে চিকিৎসকেরা সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক দেন।
13
14
মূত্রথলির দুর্বলতার জন্য কিছু ব্যায়াম এবং ওষুধ সাহায্য করতে পারে। স্নায়ুর সমস্যার জন্য অন্তর্নিহিত রোগের চিকিৎসা প্রয়োজন।
14
14
মনে রাখবেন সমস্যাটি উপেক্ষা করা উচিত নয়। কারণ এর নেপথ্যে থাকতে পারে অন্য কোনও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। তাই, সমস্যাটি থাকলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।