মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েল এবং ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতেই মঙ্গলবার আমেরিকার আকাশে ‘ডুমসডে প্লেন’ নামে একটি বিশেষ মার্কিন সামরিক বিমানকে উড়তে দেখা গিয়েছে। এর পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আরও বড় সংঘাতের জন্য কি আমেরিকা প্রস্তুত হচ্ছে?
2
8
‘ই-৪বি নাইটওয়াচ’ নামে পরিচিত এই বিমানটি কোনও সাধারণ বিমান নয়। এটি পারমাণবিক যুদ্ধ বা জাতীয় জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে একটি উড়ন্ত কমান্ড সেন্টার হিসেবে কাজ করার জন্য তৈরি।
3
8
বিমানটি সঙ্কটের সময়েও শীর্ষস্থানীয় মার্কিন সামরিক এবং রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সংযোগ রক্ষার্থে এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
4
8
মঙ্গলবার ই-৪বি লুইসিয়ানার বার্কসডেল বিমান ঘাঁটি থেকে সন্ধ্যা ৬টার কিছু আগে (মার্কিন সময়) উড়ান শুরু করে। প্রায় চার ঘণ্টা আকাশে থেকে রাত ১০টার দিকে মেরিল্যান্ডের জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজে অবতরণ করে।
5
8
জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য বিমানগুলিকে প্রায়শই ওড়ানো হয়। কিন্তু এই বিশেষ উড়ান সময়সূচী প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’-এর হুঁশিয়ারি দেওয়ার ঠিক পরেই আমেরিকার আকাশে দেখা গিয়েছে নাইটওয়াচকে।
6
8
ই-৪বি নাইটওয়াচ-কে প্রায়শই 'ডুমসডে প্লেন' বা 'ফ্লাইং পেন্টাগন' নামে ডাকা হয়ে থাকে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং নিরাপদ বিমানগুলির মধ্যে একটি। বিমানটি পারমাণবিক বিস্ফোরণ এবং তড়িৎ চৌম্বকীয় পালস সহ্য করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
7
8
এটি ৬৭টি স্যাটেলাইট ডিশ এবং অ্যান্টেনা দিয়ে সজ্জিত। মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরার ক্ষমতার কারণে, বিমানটি অবতরণ না করে ৩৫ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে থাকতে পারে।
8
8
৯/১১ হামলার সময় প্রেসিডন্ট জর্জ বুশ এটি ব্যবহার করেছিলেন, এবং ১৯৯৫ সালে হারিকেন ওপালের সময়ও, যখন ফেমা দল ব্যবহার করেছিল বিমানটি। যখনই এই বিমানটি আকাশে উড়তে দেখা যায় তখন গুরুতর কিছু ঘটতে চলেছে বলে আশঙ্কা করেন আমেরিকাবাসী।