লোহার মতো মজবুত হবে হাড়! সুগারের ভয় পালাবে, পাতে শুধু রাখুন এই বীজ
নিজস্ব সংবাদদাতা
৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০ : ৪৫
শেয়ার করুন
1
8
দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সহজেই পুষ্টিগুণ বাড়ানো যায় কিছু বীজ অন্তর্ভুক্ত করলেই। তার মধ্যে কুমড়োর বীজ অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি বিকল্প, যা খাবারের সঙ্গে সহজেই মিশিয়ে খাওয়া যায়। জনপ্রিয় গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. সৌরভ শেঠি বলেন, “এই ছোট্ট বীজগুলোর মধ্যে লুকিয়ে আছে অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণ। আপনি যদি এগুলো ডায়েটে না রাখেন, তাহলে সত্যিই অনেক উপকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”
2
8
কুমড়োর বীজ ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক ও কপার-সহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজের অত্যন্ত ভাল উৎস। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং ভাল ফ্যাট, যা স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে আদর্শ।
3
8
এই বীজে রয়েছে ভিটামিন ই এবং নানা ধরনের ফেনোলিক অ্যাসিড, যা শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে ও প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করে। ফলে দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি কমে।
4
8
কুমড়োর বীজে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এর স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও ফাইটোস্টেরল কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে।
5
8
ম্যাগনেশিয়াম ক্যালসিয়াম বিপাক ও হাড়ের গঠন প্রক্রিয়ায় জরুরি ভূমিকা রাখে। তাই কুমড়োর বীজ হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী।
6
8
গবেষণা বলছে, কুমড়োর বীজ ইনসুলিন কার্যকারিতা বাড়ায় এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগী বা রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইচ্ছুকদের জন্য এটি ভাল বিকল্প।
7
8
কুমড়োর বীজ ট্রিপটোফ্যানের প্রাকৃতিক উৎস—একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা ঘুমের মান উন্নত করে। এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম উদ্বেগ কমাতে, মুড ভাল রাখতে এবং ঘুমে সহায়তা করে। ডা. শেঠি বলেন, “কুমড়োর বীজের ট্রিপটোফ্যান মনকে শান্ত রাখে এবং সেরোটোনিন বাড়ায়।”
8
8
এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভাল ফ্যাট শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ফলে আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ উপশম হতে পারে এবং সার্বিক ভাবে রোগঝুঁকি হ্রাস পায়।