সুন্দরের প্রতি মানুষের টান সভ্যতার আদিলগ্ন থেকে। কিন্তু সৌন্দর্য্যের মাপকাঠি কী? কেউ জানেন না। সকলের কাছে তার সংজ্ঞা স্বতন্ত্র। যাঁরা মডেলিং করেন তাঁরাও জানেন সেকথা। জানেন অস্ট্রেলিয়ান মডেল মিয়া বেইলিও।
2
11
সম্প্রতি একটি অজি সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২০ বছর বয়সি মডেল জানিয়েছেন, তাঁর একটি বিশেষ দুর্বলতা দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা লুটিয়ে দিতেও দ্বিধা করেন না ভক্তরা।
3
11
সেই টাকাতেই নিজের জীবনকে বিলাস ব্যসনে ভরিয়ে তুলেছেন তিনি। নিজের বাড়ি থেকে, বিলাসবহুল গাড়ি কী নেই তাঁর?
4
11
কিন্তু কী সেই কাজ যা দেখতে এমন আগ্রহ তাঁর অনুরাগীদের? মিয়া জানিয়েছেন, তাঁর পায়ে কেউ আঙুল বোলালেই মারাত্নক সুড়সুড়ি লাগে। একেবারে শিহরিত হয়ে ওঠেন তিনি। আর সেই হাস্যরসাত্মক ভিডিও দেখতেই পছন্দ করেন দর্শকরা।
5
11
মডেলের দাবি, মাসে একবার বিভিন্ন সাজে পর্দায় হাজির হন তিনি। আর তার পর এক সহকর্মী তাঁকে সুড়সুড়ি দেন। সেই সুড়সুড়িতেই নাকের জলে চোখের জলে অবস্থা হয় তাঁর। আর এই শিহরিত রূপ দেখতেই লক্ষ লক্ষ টাকা দেন ভক্তরা।
6
11
সাক্ষাৎকারে মিয়া আরও জানিয়েছেন, তাঁর মডেলিং-এর দুনিয়ায় আসার প্রধান কারণ ছিল, নিজের প্রতি ভালবাসা। রোজকার জীবনের ইঁদুর দৌড়ে না মিশে তিনি নিজের জন্য এমন কিছু করতে চেয়েছিলেন, যেখানে তাঁর কাজের স্বাধীনতা থাকবে।
7
11
কিন্তু হঠাৎ তাঁর সুড়সুড়ি নিয়ে এত মাতামাতি কেন অনুরাগীদের মধ্যে? মিয়া বলেন, “আমিও ঠিক নিশ্চিত নই। তবে হয়তো এই অভিব্যক্তি মানুষকে পর্দার মধ্যেও কিছুটা বাস্তব অনুভূতির স্বাদ দেয়।”
8
11
মডেল আরও বলেন, “আসলে মানুষ হাসতে ভুলে গিয়েছে, তাই হয়তো সুড়সুড়িতে মুখ চেপে হেসে ওঠার মধ্যে মানুষ নিজেদের ব্যক্তিগত অনুভূতিকে খুঁজে পান। কারণ কোনও না কোনও সময় আমরা সকলেই তো বাচ্চাদের মতো খিলখিল করে হেসেছি।”
9
11
তাঁর কি এই কাজ করতে ভাল লাগে? জবাবে মডেল জানিয়েছেন, অনুরাগীদের ইচ্ছে পূরণ করে খুবই আনন্দ পান তিনি।
10
11
বিষয়টিকে নারীদের ক্ষমতায়নের সঙ্গেও জুড়ে দিয়েছেন মডেল। তাঁর মতে কারও মুখে হাসি ফোটাতে পারা কিংবা তাঁদের সাধ পূরণ করতে পারার জন্যেও আলাদা ক্ষমতা প্রয়োজন। আর তিনি সেই ক্ষমতার অধিকারী।
11
11
সব মিলিয়ে নিজের অদ্ভুত পেশা নিয়ে দিব্যি খুশি তিনি। একদিকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আর অন্যদিকে মানুষকে আনন্দ দেওয়ার মধ্যে দিয়েই এগিয়ে যেতে চান মডেল।