২০০৫ সালের সবচেয়ে সফল বলিউড-কমেডি ছবি ছিল ‘নো এন্ট্রি’। সলমন খান, অনিল কাপুর আর ফারদিন খানকে নিয়ে অনীস বাজমির সেই হাস্যরসাত্মক ছবিই ছিল এক সময়ের ব্লকবাস্টার। ছবির মুক্তির দু’মাসের মধ্যেই বনি কাপুর ঘোষণা করেছিলেন সিক্যুয়েলের। কিন্তু টানা ২০ বছর ধরে সেই সিক্যুয়েলের পরিকল্পনা হলেও বারবার ভেস্তে যায়। অবশেষে বহু প্রতীক্ষার পর তৈরি হচ্ছে সিক্যুয়েল— ‘নো এন্ট্রি মেঁ এন্ট্রি’।

 

আরও পড়ুন: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ছবি ঘোষণা সৃজিত-রাণার! ছবিতে কোন বিখ্যাত চরিত্রদের দেখা যাবে? প্রথমবার জানাচ্ছে আজকাল ডট ইন

এবার মুখ্যভূমিকায় আছেন বরুণ ধাওয়ান, অর্জুন কাপুর আর পাঞ্জাবি সুপারস্টার-গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জ। শুরু থেকেই দিলজিতের এই ছবিতে থাকা-না-থাকা নিয়ে কম জল্পনা চলেনি। কখনও শোনা গেছে তিনি ছবি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন কখনও আবার শোনা গেছে ফিরেছেন। কিন্তু সর্বশেষ খবর, সারা বিশ্বজুড়ে গানের ব্যস্ত ট্যুর শিডিউলের কারণে দিলজিৎ নাকি আর এই ছবিতে থাকতে পারছেন না!

 

 

ছবি ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের দাবি, দিলজিতের আন্তর্জাতিক ট্যুর আর কনসার্ট এতটাই টাইট শিডিউলে রয়েছে যে ‘নো এন্ট্রি মেঁ এন্ট্রি’ ছবির বিশাল  শুটিং প্ল্যানিংয়ের সঙ্গে তাঁর শুটিংয়ের তারিখ মেলানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাই সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে দুই পক্ষই বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রশ্ন উঠছে, এবার তাঁর জায়গায় কাকে নেবেন প্রযোজক-পরিচালক? নাম নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন গুঞ্জন। অন্যদিকে, সিক্যুয়েলের আসল কারণ নিয়ে ইন্ডাস্ট্রি মহলে চলছে চর্চা। আরেক সূত্র জানাচ্ছে, আসলে সলমন খানের সমস্যা বনির সঙ্গেই, আর সেই সঙ্গে অর্জুন কাপুরকে নিয়েও। তাই পুরনো কাস্টকে ফিরিয়ে আনার প্রশ্নই ওঠেনি। তাই নতুন তারকাদের নিয়ে ‘নো এন্ট্রি’-র এই সিক্যুয়েলে কাস্ট করতে খানিক বাধ্য হয়েছেন বনি কাপুর।

অনীস বাজমিও এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন, “ নো এন্ট্রি  ছবিতে মুখ্য অভিনেতারা তাঁদের অভিনীত চরিত্রগুলিকে যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন, অন্য কেউ তেমনটা পারবে না। তবুও এইবার নতুন প্রজন্মকে নিয়ে আমরা এগোচ্ছি।”

 

 

তাহলে কি দুই দশকের পর দর্শকরা একই রকম হিট সিক্যুয়েল পেতে চলেছেন, না কি কাস্টিং-ঝড়ে ডুবে যাবে ‘নো এন্ট্রি মেঁ এন্ট্রি’? সবটাই সময়ই বলবে।

অন্যদিকে, পাক তারকাদের নিয়ে ছবি তৈরি করায় দিলজিৎ দোসাঞ্জের উপর বেজায় চটেছেন দেশবাসী। এমনকী তাঁকে ‘দেশদ্রোহী’র তকমাও দেওয়া হয়েছে। ভারতে নিষিদ্ধ হয়েছিল দিলজিৎ-এর ‘সর্দারজি ৩’। তবুও পাকিস্তানে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। এছাড়াও মুক্তি পেয়েছে আরও অন্যান্য দেশে। দিলজিতের ‘সর্দারজি ৩’ ছবিতে হানিয়া আমির, নাসির চিন্যোতি, ড্যানিয়েল খাওয়ার এবং সেলিম আলবেলার মতো একাধিক পাক মুলুকের তারকা রয়েছেন। পহেলগাঁও হামলার প্রেক্ষিতেই দিলজিতের কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে ক্ষিপ্ত ওই ফিল্ম সংগঠন। একাধিক পাকিস্তানি শিল্পীকে কাস্ট করেই বিপাকে পড়েছেন দিলজিৎ। পাঞ্জাবি সুপারস্টারের সিনেমা ঘিরে আপত্তি তুলেছিল ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া। পাক তারকাদের কাস্ট করায় পাশাপাশি নেটিজেনরাও দিলজিৎকে ‘দেশদ্রোহী’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এবার সহ-অভিনেতার পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী বাণী কাপুর। মুম্বই সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এই ছবিটির শুটিং পহেলগাঁও হামলার অনেক আগেই হয়েছিল। ছবির সঙ্গে কমপক্ষে ১০০ জন টেকনিশিয়ান যুক্ত ছিলেন। এরপর যখন ছবি মুক্তির সময় এল তখন সবাই ক্ষেপে উঠলেন। কিন্তু এতে অভিনেতা বা প্রযোজকের কী করা উচিৎ? ছবি মুক্তি পাবে না? আমার তো মনে হয় এটা কোনও আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘনের মতো কাজ হয়নি।”