সংবাদ সংস্থা মুম্বই: একদিকে বরুণ, অন্যদিকে অর্জুন — মাঝখান থেকে হঠাৎ দিলজিৎ গায়েব! এইমুহূর্তে ‘নো এন্ট্রি’র সিক্যুয়েলের অবস্থানকে এককথায় বোঝাতে গেলে এই বাক্যই সম্ভবত সবথেকে বেশি লাগসই।  ২০০৫ সালের কাল্ট কমেডি ‘নো এন্ট্রি’র সিক্যুয়েল নিয়ে যখন জোর জল্পনা, ঠিক তখনই বাজিমাতের আগেই ছন্দপতন। দিলজিৎ দোসাঞ্জ নাকি প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সৃষ্টিশীল মতভেদের জেরে!

 


দর্শকরা ভাবছিলেন, দিলজিৎ দোসাঞ্জের এন্ট্রিতে ‘নো এন্ট্রি ২’ হবে আরেকটা ফুল অন কমেডি ব্লাস্ট। কিন্তু সে স্বপ্নে এখন ভাঙন। সূত্রের খবর, প্রথম থেকেই এই ছবিতে কাজ করতে উদগ্রীব ছিলেন দিলজিৎ। বরুণ ধাওয়ান এবং অর্জুন কাপুরের সঙ্গে শুটিংয়ের জন্য তিনি  একেবারে তৈরি ছিলেন। কিন্তু চিত্রনাট্যের ভাবনা ও নিবেদন নিয়ে একাধিকবার দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। অবশেষে, ছবি নিয়ে মতের অমিলের জেরে তীরে পৌঁছেও ভেসে গেল দিলজিৎ-ভক্তদের প্রত্যাশা।

 


পরিচালক অনিস বাজমি, যিনি ২০০৫ সালের হিট 'নো এন্ট্রি'-রও পরিচালক ছিলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তাঁর স্পষ্ট জবাব, “এখন এ বিষয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না। বনি কাপুরের সঙ্গেই যোগাযোগ করুন।”অন্যদিকে, প্রযোজক বনি কাপুরের কাছেও যোগাযোগ করা হলেও প্রকাশের সময় পর্যন্ত কোনও উত্তর মেলেনি।   ছবির কাস্টিং এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে  চূড়ান্ত নয়, তবে শোনা যাচ্ছে—বরুণ ধাওয়ান ও অর্জুন কাপুর থাকছেন প্রধান ভূমিকায়। অন্যদিকে, তামান্না ভাটিয়াও এই ছবিতে আছেন বলে গুঞ্জন, যাঁর চরিত্রটি নাকি মূল ছবিতে বিপাশা বসুর মতো এক্সটেন্ডেড ক্যামিওর আদলে তৈরি। 


প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ‘নো এন্ট্রি’ ছিল এক দুরন্ত কমেডি ছবি— সলমন খান, অনিল কাপুর, ফরদিন খান ছিলেন মুখ্যচরিত্রে। ছবির গল্প ছিল বিবাহিত জীবনের গোলমেলে ট্র্যাকে প্রেম নামের এক বন্ধু এসে বাকি দুই বন্ধুর জীবনে কীভাবে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন, তার দারুণ মজার উপস্থাপনা।