সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ২০২৫-এর মেট গালায় রাজকীয় অভিষেক হল শাহরুখ খানের। ডিজাইনার সব্যসাচীর বিশেষ পোশাকে যখন ‘কিং খান’ লাল গালিচায় পা রাখলেন, তখন গোটা ভারতবাসী গর্বিত। কিন্তু সেই গর্বের মধ্যে হঠাৎই হোঁচট খাওয়াল বিদেশি মিডিয়ার ‘অনভিজ্ঞতা’। অনুষ্ঠানের সঞ্চালকরা কিং খানের মর্যাদা বোঝেনই না— উঠল এমন অভিযোগ। বেজায় চটে গেলেন শাহরুখভক্তরা।

 

 

ঘটনার ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়। তিনিই সঞ্চালকদের সামনে স্পষ্ট করে বললেন, “পৃথিবীর সবথেকে বড় ছবি-তারকা।” অথচ পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে এক বিদেশি সাংবাদিক পর্যন্ত শাহরুখকে জিজ্ঞেস করে ফেলেন—“ আপনি কে?” এই ঘটনার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে একের পর এক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন, “শাহরুখ খানকে না চিনে প্রশ্ন করা—এটা অপমানের চূড়ান্ত!” আবার কারও বক্তব্য, “ওঁর প্রতি এই ধরনের আচরণ প্রমাণ করে, কতটা পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি মিডিয়া।”

 

 

 

এসবের মাঝেই ফের ভাইরাল হয়ে গেল শাহরুখের এক পুরনো বক্তব্য—২০১২ সালে ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে দেওয়া তাঁর বিখ্যাত বক্তৃতা। সেবার তিনি বলেছিলেন, “আমি যখন নিজেকে একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে শুরু করি, বিশাল কিছু ভাবতে শুরু করি, তখনই আমেরিকায় যাই। ওখানে গেলেই ফের মাটিতে নেমে আসি। কারণ?

 

“আমাকে প্রায়ই আমেরিকান এয়ারপোর্টে আটকানো হয়, ঘণ্টা দেড়েক বসিয়ে রাখা হয়—এতে আমার সব স্টারডম-টারদম একেবারে গায়েব হয়ে যায়!” এখানেই না থেমে শাহরুখ আরও বলে চলেন— “তবে হেরে যাওয়ার বান্দা আমি নই। সুযোগ পেলেই ওদেরও টেক্কা মারি। যেমন ধরুন, সেখানে তারা আমাকে যখন জিজ্ঞেস করে—‘তোমার উচ্চতা কত?’ বেমালুম মিথ্যা কথা আমি বলি—‘পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চি।' যাই হোক, এবারে ভেবে রেখেছি পরেরবার আমেরিকার বিমানবন্দরে ওরা যখন জিজ্ঞেস করযে আমাকে—‘তোমার গায়ের রঙ কী?’ আমি বলব—‘ধবধবে ফর্সা!” 

 

এই কটাক্ষ, এই রসবোধ—এটাই ‘কিং খান’!