আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুখ থুবড়ে পড়ল আইএসএফ ও বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করল। শাসকদলের প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলাম ভাঙলেন বাবা হাজি নুরুলের রেকর্ড। তিনি এক লক্ষ ৩১ হাজার ৩৮৮ ভোটে জয়লাভ করেছেন। আইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল আলম প্রচারে ব্যাপক ঝড় তুলেছিলেন। কিন্তু ভোট বাক্সে তার প্রতিফলন দেখা গেল না। ভোট পেয়েছেন মাত্র সাড়ে ২৪ হাজার। বিজেপি প্রার্থী বিমল দাসের পরিস্থিতি আরও খারাপ। তাঁর জামানত জব্দ হয়েছে। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৩ হাজারের কাছাকাছি।
হাড়োয়ায় জয়ী তৃণমূল প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলামকে নিয়ে দলীয় কর্মী সমর্থকেরা উল্লাস করা শুরু করেছেন। হাজি নুরুল ইসলাম ২০১৬ ও ২০২১ সালে পরপর দু'বার হাড়োয়া থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। শেষবার বিধানসভা নির্বাচনে তিনি প্রায় ৮১ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দল তাঁকে বসিরহাট কেন্দ্রের প্রার্থী করে। বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে প্রায় তিন লক্ষ ৩৩ হাজার ভোটে হারিয়ে হাজি নুরুল সাংসদ নির্বাচিত হন। লোকসভা নির্বাচনে হাড়োয়া কেন্দ্রে তিনি প্রায় এক লক্ষ ১১ হাজার ভোটে এগিয়েছিলেন। সাংসদ পদে শপথ নেওয়ার আগে তাঁকে বিধায়ক পথ থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছিল।
হাড়োয়া কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রয়াত হাজি নুরুলের মেজো ছেলে শেখ রবিউল ইসলামকে প্রার্থী করে ঘাসফুল শিবির। তাঁর বিরুদ্ধে পিয়ারুল আলম আইএসএফ প্রার্থী ছিলেন। ছিলেন বিজেপি প্রার্থী বিমল দাসও। দুই বিরোধী দল প্রচারে ঝড় তুললেও ভোট গণনায় দেখা গেল, বিরোধীরা দাগ কাটতেই পারল না। বিজেপি প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছে। জয়ের পর শেখ রবিউল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'আমার জয় বাবাকে উৎসর্গ করলাম। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বিরোধীরা যেভাবে অপপ্রচার করেছে, হাড়োয়ার মানুষ তার জবাব দিয়েছেন। মানুষ আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন। বাংলার উন্নয়নের সঙ্গে আছেন।'
