মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

কলকাতা | চিকিৎসকদের যৌথ প্রচেষ্টায় 'ফার্টিলিটি ফ্যাক্টস': এবার মাতৃদিবসের বড় উপহার বন্ধ্যাত্ব মুক্তি

Reporter: গোপাল সাহা | লেখক: AD ১২ মে ২০২৫ ২০ : ৪৯Abhijit Das


গোপাল সাহা: এবার সিনিয়ার ডাক্তারদের যৌথ প্রচেষ্টায় মাতৃ দিবসের বড় উপহার হিসেবে 'অম্বুজা নেওটিয়া হেল্থ কেয়ারে'র একটি উদ্যোগ #FertilityFacts অর্থাৎ ইন ভিন্ট্রো ফার্টিলাইজেশন (IVF) পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান ধারণ ও প্রসব অথবা সন্তান ধারণের বিকল্প পদ্ধতিতে মাতৃত্ব ফিরিয়ে দেওয়া, এবং একই সাথে প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সময় মত ও প্রমাণ ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি।

বহু মহিলারা অথবা বিবাহিত যুগল সন্তান নিতে অথবা মাতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে বর্তমানে এর প্রধান কারণ যেমন জীবনধারণের পদ্ধতি একটা বড় কারণ, এছাড়াও পরিবেশ দূষণ, সময়মতো সন্তান প্রসব না করা, মাদকাসক্তি ইত্যাদি কারণে, এছাড়াও পুরুষ বা নারীদের ক্ষেত্রে অক্ষমতা মাতৃত্ব থেকে অথবা সন্তান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। আর তাদেরকেই মাতৃত্ব বা সন্তান প্রাপ্তির অক্ষমতাকে সক্ষম করতে এই পদ্ধতি অর্থাৎ ইনভিনট্রো ফার্টিলাইজেশন, যা সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত বা বিজ্ঞানভিত্তিক ভাবে সন্তান প্রসবের বিকল্প পদ্ধতি।  

তবে পরিসংখ্যান বলছে দেশে এখনো পর্যন্ত ২.৫ থাকে ৩ মিলিয়ান মানুষ এই পদ্ধতিকে গ্রহণ করতে পেরেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞান ও বিশেষজ্ঞদের মতে দেশে বর্তমানে এই পদ্ধতিতে সন্তান ধারণের সাফল্য ৫০% থেকে ৬০%। আর মাতৃ দিবসের উপলক্ষে মাতৃত্বের উপহার মায়েদের হাতে তুলে ধরতে এক অনবদ্য প্রচেষ্টা চিকিৎসকদের সঙ্গে 'অম্বুজা নেওটিয়া হেলথ কেয়ারে'র 'দি ফলটিলিটি সেন্টার' যৌথ উদ্যোগে 'ফার্টিলিটি ফ্যাক্টস' নামে একটি উদ্যোগ। তাদের মূল উদ্দেশ্য একদিকে যেমন মাতৃত্বের উপহার, অপরদিকে প্রজনন সম্পর্কে মানুষের কাছে সঠিক ধারণা ও রোগী পরামর্শের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া, যাতে মানুষ তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা লাভ করতে পারে, চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে পারে এবং যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়।

উল্লেখ্য, চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, বন্ধ্যাত্বের কারণ শুধু নারী নয় পুরুষদের ক্ষেত্রেও হতে পারে। বর্তমানে তার পরিমাণ যথেষ্টই বাড়ছে এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ছিল, এখন তার পরিমাণ আরও ক্রমাগত বাড়ছে। 

এছাড়া বন্ধ্যাত্বের আরও কিছু কারণ উল্লেখযোগ্য ভাবে বলা যায়- 
১) জীবনধারণ পদ্ধতি অর্থাৎ ফাস্টফুড খাওয়া, 
২) অতিমাত্রায় মাদকাসক্তি, 
৩) কর্মজীবনে মানসিক চাপ ইত্যাদি। এছাড়াও 
৪) শরীরের যত্ন না নেওয়া, শরীর চর্চা না করা, সহবাসে অনীহা, স্বামী স্ত্রীর যৌন সম্পর্কে দূরত্ব বৃদ্ধি, পরিবেশ দূষণ ইত্যাদি কারণে নারী এবং পুরুষ উভয় ক্ষেত্রেই ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর পুষ্টির অভাবে এই সমস্যা বেড়ে চলেছে। 
    এছাড়াও সঠিক সময়ে সন্তান ধারণ না করা এবং ব্যক্তিগত কারণে অনেক দেরিতে সন্তান নিতে গেলেও বড় রকম সমস্যা আসতে পারে। কারণ বয়স বাড়ার সাথে সাথে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর সুস্থতার পরিমাণ কমতে থাকে। যার ফলে একটা বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

ক্লিনিকল সাইকোলজিস্ট অঞ্জনা ঘোষ (দ্য ফার্টিলিটি সেন্টার) বলেন, “বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ডিম্বাণু বা শুক্রাণুর গুণমান ছাড়াও, মানসিক স্বাস্থ্য প্রজনন সক্ষমতায় গভীর প্রভাব ফেলে। অনেক রোগীই বুঝতে পারেন না যে মানসিক চাপ তাঁদের প্রজনন সমস্যার একটি বড় কারণ হতে পারে। তারা প্রায়শই এটি চুপচাপ সহ্য করেন, যা মানসিকভাবে আরও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।"

এই বিষয়ে আমরা সরাসরি কথা বলেছিলাম চিকিৎসক (স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ) শবনাম পারভীনের সঙ্গে, তিনি বলেন, "আজকের দ্রুতগতির জীবনে প্রজনন স্বাস্থ্য প্রায়শই উপেক্ষিত হয়। ব্যথাযুক্ত ঋতুস্রাব ও অনিয়মিত মাসিকের মতো উপসর্গগুলোকে সাধারণত গুরুত্ব দেওয়া হয় না। চকোলেট সিস্ট, ফাইব্রয়েড, এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো শারীরিক সমস্যা প্রায়ই নির্ণয়হীন থেকে যায়, যা ভবিষ্যতে বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়ায়। দ্রুত নির্ণয়ই একমাত্র উপায় এই জটিলতা প্রতিরোধ ও সফল ফলাফলের জন্য। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস) যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে এবং সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তবে তা শুধুমাত্র প্রজনন স্বাস্থ্য নয়, মেটাবলিক রোগ থেকেও রক্ষা করতে পারে।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন,"আইভিএফ-এর সাফল্যের হার বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়, বিশেষ করে ত্রিশোর্ধ্ব নারীদের ক্ষেত্রে। তাই প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষায় সচেতনতা ও আগাম পদক্ষেপ অপরিহার্য। আগে অনেকের মধ্যে একটা ভ্রান্ত ধারণা ছিল যে অন্যের অর্থাৎ অপরিচিত কোন ব্যক্তির শুক্রাণু ব্যবহার করা হবে, কিন্তু এখন সেই ধারণা বদলেছে এবং ভরসা করছে মানুষ"।


Fertility FactsInfertility

সাপের বিষ মারতে ধন্বন্তরী, এক ফোঁটা চোখের জলের এত গুণ! দামও আকাশছোঁয়া

ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা? বয়স-উচ্চতা অনুসারে আদৌ কি আপনার ওজন বেশি? আসল হিসেব জানলে ধারণা বদলে যাবে

ডিগ্রির কি সত্যিই কোনও মূল্য নেই! পেট চালাতে দোরে দোরে ঘুরতে হচ্ছে অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েটকে

১৩ বছরের বন্ধুত্বের পর বাগদান সারলেন দেবতনু, কবে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন অভিনেতা?

জিনপিং এবং পুতিন মিলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করবেন! আশঙ্কার কথা শোনালেন ন্যাটো প্রধান

মেসেজের উত্তরে ‘ওকে’ ব্যবহার করেন সকলে, এর অর্থ জানেন? ৯৯ শতাংশ মানুষের কোনও ধারণাই নেই

স্কুলের অধ্যক্ষ ও ভাগ্নে মিলে ভয়াবহ অত্যাচার! মাত্র ৫ বছরের শিশুর হাড়হিম পরিণতি দেখে চমকে উঠেছে দেশ

ডিউক বলের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন ভারত অধিনায়ক, জয়ের জন্য এই ক্রিকেটারকে দিলেন বড় সার্টিফিকেট 

'ডিয়ার ফুটবল, তোমার জন্য বিশেষ চিঠি', আবেগঘন পোস্ট লিখে বুটজোড়া তুলে রাখলেন রাকিটিচ

মহিলাদের কপালের ৮৬৬টি টিপ দিয়ে ক্যানভাসে মেসির ছবি ফুটিয়ে তুললেন চিত্রশিল্পী, তুলে দিতে চান বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের হাতে

বাংলার মুখ উজ্জ্বল করলেন ইংল্যান্ডে, রানির দেশে খেলতে নেমেই রেকর্ড আকাশদীপের

করের বোঝা ছাড়াই ১২ কোটি টাকা নিয়ে অবসর নিতে চান, ইপিএফ এবং এনপিএস-এ একসঙ্গে বিনিয়োগ দেবে সেই সুযোগ

'ওর জন্য উত্তর খুঁজে রেখো,' লর্ডস টেস্টের আগে স্টোকসদের সতর্কবাণী ইংল্যান্ডের প্রাক্তনীর

'রাস' এর সাফল্যের ৩০ দিন - নাচে গানে মেতে উঠল গোটা পরিবার

প্রতিদিন সামলাতে হয় শয়ে শয়ে ট্রেনের ভিড়, ভারতের ব্যস্ততম রেলস্টেশন রয়েছে বাংলাতেই

কেবল বল হাতে ভেল্কি দেখিয়েই ম্যাচের সেরা ম্যাড ম্যাক্স, সামনে কেবল গেল

এজবাস্টনে হারতেই কান্নাকাটি শুরু করে দিল ইংরেজরা, লর্ডসের উইকেট নিয়ে এল বিশেষ আবদার

ভারি বৃষ্টিপাতে ঘর ভেঙে শিশুর মৃত্যু! ঝাড়খণ্ডে বন্যার সতর্কতা

অনন্য নজির ফ্যাফ ডু প্লেসির, ছাপিয়ে গেলেন কোহলিকেও

দিনে ৬০০ ট্রেন যাতায়াত করে, ভিড় হয় উপচে পড়া, জানেন দেশের ব্যস্ততম রেল স্টেশন রয়েছে এই রাজ্যেই…

জোর ঘুরতে শুরু করেছে পৃথিবী, দাবি বিজ্ঞানীদের, কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে মানুষ

পরিবারের সামনেই ছুরি দিয়ে খুন রাজস্থানে! ইঞ্জিনিয়ারের চরম পরিণতি দেখে চমকে উঠেছে দেশ 

ত্বকে রয়েছে বিশেষ ক্ষমতা, শরীরের ঘা সেরে যায় অন্যদের থেকে আগেই! জানেন কোথায় বাস তাঁদের

আরও দু'বছর ইস্টবেঙ্গলে বিষ্ণু, দলকে ট্রফি দিতে মরিয়া প্রতিভাবান উইঙ্গার

সোশ্যাল মিডিয়া