আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লির ৮০ শতাংশেরও বেশি শ্রমিক, যাদের মধ্যে রাস্তায় ব্যবসা করা, নির্মাণ শ্রমিক ও আবর্জনা সাফাইকারীরা রয়েছেন, চরম গরমে তীব্র স্বাস্থ্যের ঝুঁকি ও আয়ের ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা তাত্ক্ষণিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে– পেইড হিট লিভ, শ্রমিক অঞ্চলগুলিতে ফ্রি ওয়াটার এটিএম, এবং 'রাইট টু কুল' বা শীতলতার অধিকারকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া।

গ্রিনপিস ইন্ডিয়ার কর্মী অমৃতা জানান, “আজ তাপপ্রবাহ শুধু আবহাওয়ার ঘটনা নয়, এটি বাস্তবে দুর্যোগে পরিণত হয়েছে যাদের মাথার উপর ছাদ নেই, বিশুদ্ধ জল নেই, বিশ্রামের জায়গা নেই তাদের জন্য।”

একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চরম গরমে ৬১% পথব্যবসায়ীর আয় ৪০% এর বেশি কমেছে, এবং ৭৫% শ্রমিকের কর্মস্থলের পাশে কোনো শীতলতার ব্যবস্থা নেই।

এদিকে, ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত উত্তরের রাজ্যগুলিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম পড়বে এবং হিটওয়েভের দিন সংখ্যাও বেড়ে যাবে। দিল্লিতে শুধু এপ্রিলেই ইতিমধ্যে সাতটি হিটওয়েভ দিন রেকর্ড করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, লিঙ্গ-সংবেদনশীল নগর পরিকল্পনার মাধ্যমে মহিলাদের জন্য নিরাপদ পাবলিক টয়লেট, ছায়া আছে এরকম ব্যবসা এলাকা ও বিশ্রামস্থল নিশ্চিত করতে হবে। অমৃতা বলেন, “মহিলারা দ্বিগুণ ঝুঁকিতে পড়ছেন— নিরাপদ জায়গার অভাব, স্যানিটেশন সমস্যা এবং পরিবারে দায়িত্ব পালন ইত্যাদি নিয়ে।”

তাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন, শহরে গরমের দিনে বাধ্যতামূলক ছুটি, বিনামূল্যে জল বিতরণ কেন্দ্র ও শীতল আশ্রয়স্থল চালু করা হোক। এছাড়াও, ‘রাইট টু কুল’ কে মৌলিক অধিকার হিসেবে সংবিধানের ২১ ধারায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও উঠেছে।

গ্রিন স্পেস, ছায়া ও জল যেন বিলাসিতা না হয়ে মৌলিক চাহিদা হিসেবে মনে করা হয়— এই দাবি নিয়ে জলবায়ু ন্যায়বিচারকে শহর পরিকল্পনার কেন্দ্রে আনার ডাক দিয়েছেন সকলে।