আজকাল ওয়েবডেস্ক: আর্টিফিশায়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তির উন্নতির পাশাপাশি এই শব্দ দু'টির সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত। যত দিন যাচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এআই-এর ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ, মানুষের দ্বারা সেই কাজ করতে যে পরিমাণ সময় লাগছে, তাঁর চেয়ে কম সময়ে এবং প্রায় নিঁখুত ভাবে সেই কাজ করতে সক্ষম এআই। সেই এআই নিয়েই এবার বিপদের বাণী শোনাল কেন্দ্র।
শুক্রবার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করেছে কেন্দ্র। সেখানে বলা হয়েছে, এআই-এর অগ্রগতি বিশেষ করে মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রভাবিত করবে। বৃহৎ পরিসরে কর্মসংস্থানের হারাতে পারেন তাঁরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য যাঁরা কাজ করে চলেছেন তাঁরা একটি নতুন যুগের সূচনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। যেখানে অর্থনীতির জন্য প্রয়োজনীয় কাজের একটি বিশাল অংশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হবে। স্বাস্থ্যসেবা, গবেষণা, বিচারব্যবাস্থা, শিক্ষা, ব্যবসা এবং আর্থিক পরিষেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের কর্মক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে প্রচুর মানুষ কাজ হারাতে পারেন। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্ষেত্রে কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রদর্শন করতে হবে। সংবেদনশীল ভাবে এআই-কে পরিচালনা করতে হবে। তা না হলে দেশের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে যাঁরা কর্মহীন হবেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে সরকারকে। যা শেষ পর্যন্ত দেশের বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আরও সতর্ক করা হয়েছে যে ভারতের যে সকল তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) কর্মীরা কম মূল্য সংযোজনকারী পরিষেবার সঙ্গে নিযুক্ত তাঁরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারেন।
আর্থিক সমীক্ষায় আগামী অর্থবর্ষে জাতীয় উৎপাদনেও আশার আলো দেখাতে পারেনি। সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, দেশের জাতীয় উৎপাদনের হার কমতির দিকে থাকবে। আসন্ন আর্থিকবর্ষে দেশের জাতীয় উৎপাদনের হার ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশ থাকবে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, বিশ্ববাজারে দুর্বল চাহিদা এবং আবহাওয়ার টানাপোড়েনের কারণে উৎপাদন ক্ষেত্র কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে খরিফ ফসলের ফলে সবজির দাম কমবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ২০২৬ আর্থিক বছরের প্রথমার্ধে রবি শস্যের ফলন যথেষ্ট বেশি হবে বলেও আশা। ফলে খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার আরও নিম্নমুখী হবে বলেই মনে করছেন সমীক্ষকরা।
