
মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫
তীর্থঙ্কর দাস: প্রতিবন্ধী হয়েও যে জীবনের লড়াইয়ে বারবার জিতে যাওয়া যায় তারই উদাহরণ এই শিক্ষক। নাম বুবাই বাগ। হাওড়া জেলার বাগনান থানার অন্তর্গত রূপনারায়ন নদীর ধারে কামারদহ গ্রামের বাসিন্দা। দেড় বছর বয়সে পোলিওর মতো মারাত্মক রোগের শিকার হন তিনি বুবাই, প্রতিবন্ধী হয়ে যান।
সময়টা ১৯৮৯। বাবা পেশায় ছিলেন চাষী। বাড়ির সংসার সামলানোর দায়িত্ব এসে পড়েছিল দাদার কাঁধে, তাই পড়াশোনা না করে ফুলের ব্যবসা শুরু করে বুবাইয়ের দাদা। বুবাই জানান, বুবাই জানান, প্রতিবন্ধী হওয়ার ফলে তাঁর বাবা উদাসীন থাকতেন সংসার এবং তাঁকে নিয়েই।
কামারদহ গ্রামে ১ কিলোমিটার দূরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হামাগুড়ি দিয়েই যেতেন। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সেই স্কুলেই পড়াশোনা। ট্রেনে যাতায়াত করার সময় তাঁর মা হাওড়া উলুবেড়িয়ার আনন্দ ভবন সম্পর্কে জানতে পারেন। আনন্দ ভবনে প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে মায়ের হাত ধরে আনন্দ ভবনেই চলে যান বুবাই। আনন্দ ভবন থেকে কিছুটা দূরেই জগৎপুর আদর্শ বিদ্যালয় একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে সে। আজকাল ডট ইনকে বুবাই জানান, ছোটবেলা থেকে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে আমাকে এবং বর্তমানেও বৈষম্যের শিকার হতে হয় প্রতিনিয়ত। বৈষম্যের কাছে হার কোনওদিনই মানেননি বুবাই তাই আজ বাগনান কলেজে শিক্ষকতা করেন তিনি। যদিও বা তার যাত্রা সহজ ছিল না। নানান বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আজ এই জায়গায় তিনি।
উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর বুবাই নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে ভর্তি হন এবং সেখানেই তাঁর জীবন বদলে যায়। ছোট থেকে ইচ্ছে ছিল পলিটিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করার, কিন্তু পরিস্থিতির চাপে ইতিহাস নিয়েই পড়তে হয় তাঁকে। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে তাঁকে কোনওদিন বৈষম্যের শিকার হতে হয়নি বলেও জানিয়েছেন। তাঁর কথায় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে সহপাঠী থেকে শুরু করে শিক্ষক এবং স্বামীজিরা প্রতি মুহূর্তে সাহায্য করে গিয়েছে। ২০০৭ সালে বুবাই স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং লিফট খারাপ থাকায় হামাগুড়ি দিয়ে তিন তলা পর্যন্ত উঠতে হতো বুবাইকে। বুবাইয়ের হামাগুড়ি দিয়ে ওঠা দেখে রীতিমতো হাসাহাসি করতেন তাঁরই সহপাঠীরা।
২০০৮ সালে 'নেট' পাস করেন বুবাই এবং ২০০৯ সালে অতিথিশিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন নরেন্দ্রপুর এবং সোনারপুর কলেজে। ২০১১ সালে সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় জুনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১৪ সালে বাগনান কলেজে ইতিহাসের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন হাওড়ার বুবাই। পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে তাঁকে সম্মানিত করা হয়েছে অবদানের জন্য।
১৩ বছর আগে বুবাই নিজের হাতে তৈরি করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'আলো'। সরকারি, বেসরকারি কোনও সহায়তা ছাড়াই বিভিন্ন সমাজমূলক কাজে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছে তাঁর এই সংস্থা। আলো-র প্রাথমিক উদ্দেশ্য এক নয়, একধিক বুবাই তৈরি করা। পিছিয়ে পড়া বাচ্চাদের আর্থিক বৃত্তি দেওয়া হয় 'আলো'-র তরফে এবং করা হয় মেন্টরিং। বুবাই ইতিমধ্যে 'প্রতিবন্ধী মানুষ রাষ্ট্রে সমাজে ও ইতিহাসে' নামক একটি বইও লিখেছেন।
চিকিৎসা শুরু হতেই ভবঘুরে মহিলার ফিরল স্মৃতিশক্তি, দাদার বাড়ি ফিরে গেল সে
একা বা অসাবধান অবস্থায় সীমান্তে যাবেন না, কৃষকদের সতর্ক করল পুলিশ
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের হরিণ শিকার করে সেই মাংস দিয়ে বনভোজন, গ্রেপ্তার তিন অভিযুক্ত
ঠিক যেন সিনেমা, মৃত প্রেমিকাকে বিয়ে যুবকের! স্থবির দেহেই হল সিঁদুরদান-মালাবদল
দীর্ঘ ৪৮ বছর এই ব্যাঙ্কের ক্ষমতা ধরে রেখেছিল এসইউসিআই, এবার হল পালাবদল
মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফর শুরুর আগে বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার মাঠে বসানো হলো সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক
মাধ্যমিক শুরুর আগে পিতৃহারা, ৬৩৭ নম্বর পেয়েও বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে অর্থনৈতিক বাধার সম্মুখীন হাওড়ার স্নেহা
১৯৮০ সালে টুরিস্ট ভিসায় পাকিস্তান থেকে ভারতে, ৪৫ বছর ধরে ভোট দিচ্ছেন চন্দননগরের ফতেমা বিবি
ভারতে আটক পাক রেঞ্জার, তবে কি এবার মুক্তি মিলবে? আশার আলো দেখছেন পূর্ণমের স্ত্রী
ভয়াবহ দুর্ঘটনা, আর তাতেই প্রকাশ্যে এল গরু পাচারের নয়া রুট! লালবাগ-সাহাপুর ঘাটে চাঞ্চল্য
সামশেরগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পাশে দাঁড়ালেন পুলিশকর্তারা, সাসপেন্ড দুই পুলিশ আধিকারিক
তুফানগঞ্জে দিনেদুপুরে অপহরণ, ৬ লক্ষ টাকা সহ এক ব্যক্তিকে নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীদের
টুরিস্ট ভিসায় এসে আর ফেরা হল না, চন্দননগরে গ্রেপ্তার পাকিস্তানি নাগরিক
মাধ্যমিকে ভাল ফল বক্সিরহাটের রাজমিস্ত্রী পরিবারের বিকাশের, উচ্চ মাধ্যমিকে আর্থিক সহায়তা চায় তার পরিবার
দুষ্প্রাপ্য ব্রুনাই কিং আম পান্ডুয়ায়! শিক্ষকের ফলের বাগান দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে