তীর্থঙ্কর দাস: ইনস্টিটিউট অফ এক্সপ্লোরেশনের পাঁচ সদস্যের একটি দল রওনা হয় বদ্রিনাথ থেকে কল্পেশ্বরের উদ্দেশ্যে। ৬ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে ২০ অক্টোবর কল্পেশ্বর পৌছয় ৫ সদস্যের এই দল। দলে ছিলেন, সায়ন্তনী মহাপাত্র, নবি তরফদার শ্রেয়দ্বীপ প্রধান, সৌমিত্র কয়াল এবং প্রসেনজিৎ সিনহা। 

৫ সদস্যের এই দল নতুন ট্রেকিং পথের সন্ধান পেল। প্রায় ১৫ দিনের কাছাকাছি ডোমকল খরক (৩৪৭৬ মিটার), নীলকণ্ঠ বেস (৪২১৮ মিটার), নীলকণ্ঠ খাল, ছেদার ( ৪০৬৯ মিটার), কঞ্জিলা খোড়ক (৩৩৬৯ মিটার), বর্মই ( ৪০৬৯ মিটার), মাটপাতা ( ৩৮৬৮ মিটার), মাটপাতা সেম ( ৪৩১৯ মিটার), বুর্শ খাল, পুনা ব্যাংক (৪৮৮৭ মিটার), পানসারা তাল (৪৩৮৬ মিটার), ফুলানা রিজ ( ৪৩৮০মিটার), বেদুয়া খরক ( ৩৬৩৮ মিটার), ভানাই (৩৮৬৭ মিটার), ভানাই টপ ( ৪০৫৬ মিটার), রিখুনি খরক (৩৯৮৬ মিটার), ফুল্লা নারায়ণ ( ২৯৫০ মিটার) হয়ে কল্পেশ্বর (২০৯৩ মিটার) এসে শেষ হয় তাঁদের ট্রেক। 

বর্মই- মাটপাতা অঞ্চলে ভাল্লুকের উপদ্রব সামলে নীলকণ্ঠ খাল টপকে জঙ্গল পেরিয়ে গন্তব্যে এসে পৌঁছয় ৫ সদস্যের এই ট্রেকিংয়ের দল। পুরো যাত্রায় তাদের সহযোগিতা করেছেন হিম্মত সিং। ১৯৯৪ সালে বিমান বিহারী কাহালি বদ্রীনাথ থেকে উরগম ভ্যালি পৌঁছন এই মাঠপাতা খাল হয়ে এবং কলপেশ্বর  পৌঁছন অন্য রাস্তা ধরে। এই পথ ধরে ২০২২ সালে আরও একটি দল উর্গাম ভ্যালি থেকে বদ্রীনাথ পৌঁছানোর চেষ্টা করলেও  সাফল্য পায়নি তাঁরা। কলকাতার এই ৫ সদস্যের ট্রেকিং দল প্রথম সাফল্য পেল দুর্গম এই নতুন ট্রেকিং পথে।