শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Moumita Basak | ০৯ আগস্ট ২০২৪ ১৫ : ১১Moumita Basak
আজকাল ওয়েবডেস্ক: মূল লক্ষ্য ছিল, ইংরেজদের অস্তাগার লুঠ। তারসঙ্গে নির্ধারিত হল, টেলিফোন ও টেলিগ্রাম ধ্বংস করা, ইউরোপীয়ান ক্লাব আক্রমণ, চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া। এই লক্ষ্যেই ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল, মধ্যরাতে সহ বিপ্লবীদের নিয়ে চট্টগ্রামের অস্ত্রাগার লুঠ করলেন মাস্টার দা।
১৮৯৪ সালের ২২ মার্চ চট্টগ্রামের নোয়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন সূর্য সেন। রাজমণি সেন ও শশীবালা সেনের চতুর্থ সন্তান সূর্য সেন। শৈশবে মা-বাবা হারানো সূর্য সেন বড় হয়ে ওঠেন কাকা গৌরমণি সেনের কাছে। ১৯১৬ সালে সরাসরি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হন বহররমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজের ছাত্র সূর্য সেন । ১৯১৮ সালে শিক্ষাজীবন শেষ করে চট্টগ্রামের গোপনে বিপ্লবী দলে যোগ দেন সূর্য সেন।
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল, চট্টগ্রামের অস্তাগার লুঠের পর জালালাবাদ পাহাড়ে আশ্রয় নেন বিপ্লবীরা। কয়েকদিনের মধ্যেই বিপ্লবীদের গোপন আস্তানার অবস্থান চিহ্নিত করে ব্রিটিশ সরকার। ২২ এপ্রিল বিপ্লবীদের ওপর আক্রমণ শুরু করে ব্রিটিশ পুলিশ। পাল্টা মোকাবিলায় নামেন বিপ্লবীরাও। প্রায় ঘণ্টা তিনেকের গুলি বিনিময়ের পর নিহত হন বেশ কয়েকজন বিপ্লবী। মৃত্যু হয় ৬৪জন পুলিশেরও।
জালালাবাদের যুদ্ধের পর বিপ্লবীদের গ্রেপ্তার করতে শুরু হয় ব্রিটিশ পুলিশের অভিযান। রেলস্টেশন, স্টিমারঘাট সব জায়গায় চলে তল্লাশি। ক্ষীরোদপ্রভা বিশ্বাসের বাড়িতে আত্মগোপন করেন মাস্টার দা। মাস্টার দাকে ধরতে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে ইংরেজ সরকার।
১৯৩৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এক বিশ্বাসঘাতকের চক্রান্তে ক্ষীরোদপ্রভা বিশ্বাসের বাড়িটি ঘিরে ফেলে ব্রিটিশ পুলিশ। রাতের অন্ধকারে শুরু হয় গুলির লড়াই। অবশেষে গ্রেপ্তার হন সূর্য সেন।
জেলে মাস্টার দার সঙ্গী ছিল গীতা, মহাভারত ও রবীন্দ্র-রচনা। বন্দি দশায় ভোরে উঠে স্তোত্র পাঠ করতেন মাস্টার দা। ১৯৩৩ সালে বিশেষ আদালতে বিচার হয় সূর্য সেনের। ১৪ আগস্ট সূর্যসেনকে ফাঁসির নির্দেশ দেয় ব্রিটিশ সরকার। ফাঁসির আগে মাস্টার ওপর নির্মম অত্যাচার করে ব্রিটিশ পুলিশ। ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি ফাঁসি দেওয়া হয় সূর্য সেনকে।