আজকাল ওয়েবডেস্ক: শচীন তেন্ডুলকরের আরও কাছাকাছি চলে এলেন জো রুট। টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ইংল্যান্ডের ব্যাটার। এবার মাস্টার ব্লাস্টারকে ছুঁয়ে ফেলার হাতছানি রয়েছে তাঁর কাছে। টেস্টে সর্বোচ্চ রানের মালিক শচীন। ২০০ টেস্টে তাঁর রান সংখ্যা ১৫,৯২১। রুটের রান ১৩,৫৪৩। কিংবদন্তির থেকে ২৩৭৮ রান পিছিয়ে। একটি সাক্ষাৎকারে রুট সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হয় শচীনকে। ইংল্যান্ডের ব্যাটারকে নিয়ে তাঁর প্রথম ধারণা কী ছিল? পাশাপাশি বলা হয়, ১৩০০০ টেস্ট রান পেরিয়ে গিয়েছেন রুট। তাঁর পেছনেই আছেন। রুট নিজের প্রথম ম্যাচ ভারতের বিরুদ্ধে খেলে। তখন দলে ছিলেন শচীন। ইংল্যান্ডের তারকার ভূয়সী প্রশংসা করেন মাস্টার ব্লাস্টার।
শচীন বলেন, 'টেস্টে ১৩,০০০ রান পার করা বড় প্রাপ্তি। এখনও সমানতালে খেলে চলেছে। ২০১২ সালে নাগপুরে ওর অভিষেক টেস্টে ওকে আমি প্রথমবার দেখি। আমি নিজের সতীর্থদের বলি, ওরা ভবিষ্যতের ইংল্যান্ড অধিনায়ককে দেখছে। যেভাবে উইকেট যাচাই করে খেলেছিল এবং নিয়মিত স্ট্রাইক রোটেট করে, তাতে আমি অভিভূত হয়ে যাই। আমি তখনই বুঝে গিয়েছিলাম, ও বড় প্লেয়ার হবে।' চেতেশ্বর পূজারার অবসরের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় টেস্ট দলের এককালীন 'মেরুদণ্ড'র প্রশংসা করেন শচীন। ভারতীয় ক্রিকেটে ১৫ বছরের অবদানের জন্য কুর্নিশ জানান।
শচীন বলেন, 'পূজারা, সবসময় তোমাকে তিন নম্বরে নামতে দেখে আশ্বস্ত লাগত। তুমি শান্ত এবং সাহসী। চাপের মুহূর্তে তোমার টেকনিক, ধৈর্য এবং সংগঠিত মনোভাব দলের সম্পদ ছিল।' ২০১৮-১৯ বর্ডার-গাভাসকর সিরিজ পূজারার টেস্ট কেরিয়ারের অন্যতম সাফল্য। ম্যারাথন ইনিংস খেলেন। ১২৫৮ বল ক্রিজে টিকেছিলেন। মোট ৫২১ রান করেন। গড় ৭৪.৪২। যা সিরিজে সর্বোচ্চ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারত মাত্র ১৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর পরিত্রাতার ভূমিকা নেন পূজারা। কিংবদন্তি মনে করেন, তাঁকে ছাড়া সিরিজ ২-১ এ জেতা সম্ভব হত না ভারতের। শচীন বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ায় ২০১৮ সিরিজ জয় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। পূজারার ম্যাচ উইনিং রান ছাড়া এটা সম্ভব হত না। অসাধারণ কেরিয়ারের জন্য অভিনন্দন। পরের পর্বের জন্য শুভেচ্ছা। দ্বিতীয় ইনিংস উপভোগ করো।' বরাবর লাল বলের ক্রিকেটকে অগ্রাধিকার দেন পূজারা। ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে টেস্ট অভিষেক হয়। ভারতের হয়ে ১০৩টি টেস্ট খেলেন। খেলেন পাঁচটি একদিনের আন্তর্জাতিকও। দু'বছর আগে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েন। বেশ কিছুদিন অপেক্ষার পর, অবসরের সিদ্ধান্ত নেন।
