আজকাল ওয়েবডেস্ক: আবার ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন রশিদ খান। আফগানিস্তানের প্রথম বোলার হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে ২০০ উইকেট সম্পূর্ণ করলেন। টি-২০ ক্রিকেটে বরাবরই ভয়ঙ্কর রশিদ। এশিয়ার প্রথম বোলার হিসেবে টি-২০ ক্রিকেটে দেড়শোর বেশি উইকেট এবং একদিনের আন্তর্জাতিকে দুশোর বেশি উইকেটের মালিক আফগান বোলার। আবু ধাবিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে এই নজির গড়েন রশিদ। ১০ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। তাঁর শিকার মেহদি হাসান মিরাজ, জাকের আলি এবং নুরুল হাসান। ১১৫টি একদিনের ম্যাচ রশিদের সংগ্রহ ২০২ উইকেট। গড় ২০.২৮। ইকোনমি রেট ৪.২৩। সেরা বোলিং ১৮ রানে ৭ উইকেট। পাঁচবার পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে। ছ'বার চার উইকেট নেন।

আফগান বোলারদের মধ্যে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মহম্মদ নবি। ১৭৪ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ১৭৬ উইকেট। তৃতীয় স্থানে দৌলত জাদরান। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারায়। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে ১০১ রান যোগ করেন তৌহিদ হৃদয় এবং মেহদি। কিন্তু পরপর তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে আবার ব্যাকফুটে ঠেলে দেন রশিদ। ৭ বল বাকি থাকতে ২২১ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। রান তাড়া করতে নেমে রহমানুল্লা গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান শুরুটা ভাল করে। প্রথম উইকেটে ৫২ রান যোগ করে এই জুটি। অর্ধশতরান করেন গুরবাজ এবং রহমত। বাকি কাজটা সারেন ওমরজাই এবং হাসমাতুল্লাহ। তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে আফগানিস্তান। টি-২০ সিরিজ ৩-০ তে দেখে বাংলাদেশ। 

প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ধামাকাদার প্রত্যাবর্তন করেন রশিদ। টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে ৬৫০ উইকেট তুলে নেন। কয়েকদিন আগে লর্ডসে দ্য হানড্রেড ২০২৫ এ ওভাল ইনভিনসিবলসের হয়ে লন্ডন স্পিরিটের বিরুদ্ধে এই মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন আফগান তারকা। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য মেজর লিগ ক্রিকেটে অংশ নেননি। কিন্তু মাঠে নেমেই নিজের উপস্থিতির জানান দেন। ২০ বলে ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। স্পিনিং ট্র্যাকের পূর্ণ ফায়দা তোলেন। তাঁর শিকার ওয়েন ম্যাডসেন, রিয়ান হিগিনস এবং লিয়াম ডসন। এই স্পেলের ফলে টি-২০ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটের অধিকারী হন রশিদ। এর আগে বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা টি-২০ লিগে ডোয়েন ব্রাভোকে ছাপিয়ে যান। বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-২০ বোলারের তকমা আদায় করে নেন আফগান স্পিনার।