আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন চেতেশ্বর পূজারা। রবিবার সবধরনের ক্রিকেট থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। এবার পূজারাকে নিয়ে একটি গল্প প্রকাশ্যে আনলেন অস্ট্রেলিয়ার মহিলা দলের অধিনায়ক এবং মিচেল স্টার্কের স্ত্রী অ্যালিসা হিলি। রক্ষণাত্মক টেকনিকের জন্য পরিচিত ভারতীয় তারকা। উইকেটে টিকে থেকে বিপক্ষের বোলারদের ক্লান্ত করে দেওয়ার মাস্টার। ১০৩ টেস্টে ৭১৯৫ রান করেন। গড় ৪৩.৬০। তাতে রয়েছে ১৯টি শতরান এবং ৩৫টি অর্ধশতরান। ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছেন।
পূজারা নিজের সেরা খেলাটা অস্ট্রেলিয়ায় খেলেন। ১১ টেস্টে ৯৯৩ রান করেন। গড় ৪৭.২৮। তারমধ্যে রয়েছে তিনটে শতরান এবং পাঁচটি অর্ধশতরান। ক্যাঙ্গারুদের দেশে ২৬৫৭ বল ক্রিজে ছিলেন। ঠাণ্ডা মাথায় মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, জস হ্যাজেলউডদের গোলা-বারুদের সম্মুখীন হন। ৩৭.৩৭ স্ট্রাইক রেট বজায় রেখে রান তোলেন। ২০১৮-১৯ বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি দৃষ্টান্ত। বিরাট কোহলির নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবার সিরিজ জেতে ভারত। পূজারার ৫২১ রান টিম ইন্ডিয়াকে সিরিজ জিততে সাহায্য করে। অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর গড় ৭৪.৪২। রয়েছে তিনটে শতরান এবং একটি অর্ধশতরান। সর্বোচ্চ ১৯৩। সাত ইনিংস মিলিয়ে ১২৫৮ বল খেলেন। একমাত্র ভারতীয় হিসেবে হাজার বলের গণ্ডি পার করেন।
অস্ট্রেলিয়ায় পূজারার সর্বোচ্চ রান ২০৬। ৫২৫ বলে ২০২ রান সম্পূর্ণ করেন। সেই ইনিংসে একমাত্র ভারতীয় হিসেবে ৫০০ র বেশি বল খেলেন। যা প্রায় ৮৮ ওভার ব্যাট করার সমান। পূজারার প্রশংসায় স্টার্কের স্ত্রী। জানিয়ে দেন, এতক্ষণ ক্রিজে থাকার ধৈর্য তাঁর নেই। এই ধরনের ক্রিকেটার বর্তমানে বিরল। হিলি বলেন, 'এটা করার মানসিকতা নেই আমার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জোড়া সিরিজ জয়ে বড় অবদান নেয় পূজারা। বোলিং আক্রমণ অনেকটা একাই সামলে নেয়। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ক্লান্ত করে দেয়। যার ফলে হতাশ হয়ে ওকে আউট করার আশাই ছেড়ে দেয় অজি বোলাররা। বুঝতে পারে ওকে আউট করা সম্ভব নয়। অন্য প্রান্তের ব্যাটারকে আউট করার চেষ্টা করে।'
বর্তমানে টি-২০ ক্রিকেটের যুগ। প্রত্যেক তরুণ ক্রিকেটার সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেট খেলতে চায়। বিশেষ করে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। সেই তুলনায় একটা যুগের অবসান বলা যেতে পারে। পূজারার মতো টেস্ট অভিজ্ঞদের যুগ কি এখানেই শেষ? এমন মনে করছেন না অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক। হিলি বলেন, 'আমি তেমন মনে করি না। কেমনভাবে রান তুলছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। ন্যাথান ম্যাক সুইনি, মার্নাস লাবুশেনের মতো ক্রিকেটাররা এখনও আছে। গত কয়েক বছরে টেস্টে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগে লক্ষ্য ছিল বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকা। আমার মনে হয় না তেমন আর কাউকে পাবো আমরা। তবে এখনও অনেকে এমন ভূমিকা পালন করে। যেমন আমাদের জো রুট, স্টিভ স্মিথ আছে। ওরাও অ্যাঙ্করের ভূমিকা পালন করে। বাকিদের হাত খুলে খেলতে দেয়। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।' দু'দিন আগেই সবধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। পূজারার জন্য বিশেষ বার্তা দেন শচীনও।
