আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'এলেন, দেখলেন, জয় করলেন।' আশুতোষ শর্মার দাপুটে ইনিংসে শেষ ওভারে জয় ছিনিয়ে নেয় দিল্লি। ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে সাত নম্বরে নেমে দলকে জেতান ২৬ বছরের তরুণ মারকুটে ব্যাটার। মেগা নিলামে এবার ৩.৮ কোটিতে আশুতোষকে কেনে দিল্লি। দলের বিপদের সময় ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে তাঁকে নামানো হয়। ততক্ষণে জয়ের আশা প্রায় শেষ। ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারায় দিল্লি। বিপরাজ নিগমকে সঙ্গে নিয়ে ৫৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। বাকি কাজটা সারেন নিজেই। শাহবাজ আহমেদের বলে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন। অবিশ্বাস্য জয়। তাঁর ছোটবেলার কোচ এবং ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার অময় খুরাসিয়া মনে করেন, দিল্লিকে আইপিএল জিততে হলে ফর্মে থাকা আশুতোষকে দিয়ে ইনিংস ওপেন করানো উচিত।
খুরাসিয়া বলেন, 'ও চাপ নিয়ে খেলতে পারে। অতীতেও সেটা করেছে। শুধু আইপিএলে নয়, অন্যান্য ম্যাচেও। নিজের খেলায় প্রতিনিয়ত উন্নতি করতে চায়। দিল্লি আইপিএল জিততে চাইলে, ওকে দিয়ে ওপেন করানো উচিত। যাতে পাওয়ার প্লের ফায়দা তুলতে পারে। পাওয়ার প্লেতে ওকে আটকানো কঠিন। অক্ষরের ওকে খেলানো উচিত। ও বোলারদের আতঙ্ক হয়ে উঠতে পারে।' আশুতোষের ছোটবেলার কোচের দাবি, তিনি সব ধরনের শট খেলতে পারেন। জোরে বোলারদের বিরুদ্ধেও বড় শট খেলতে সমান স্বচ্ছন্দ। খুরাসিয়া মনে করেন, ভারতের হয়ে সুযোগ পাওয়া উচিত তাঁর ছাত্রের। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ওর ভারতের হয়ে খেলা উচিত। ভাবতে পারছেন ১১৩ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও একজন ব্যাটার ম্যাচ ঘুরিয়ে দিচ্ছে? কতজন সেটা করতে পেরেছে? এই ট্র্যাকে এটা করা সহজ ছিল না। চ্যালেঞ্জিং পিচে রবি বিষ্ণোইকেও ছাড়েনি। ভারতের হয়ে টি-২০ তে খেলা উচিত। এইধরনের প্লেয়ারদের শুরুতেই সুযোগ দেওয়া উচিত।' খুরাসিয়া জানান, ব্যাটারের পাশাপাশি উইকেটকিপিংও করতে পারেন আশুতোষ। ভাল ফিল্ডারও। এমনকী হাতও ঘোরাতে পারেন। মধ্যপ্রদেশের হয়ে জুনিয়র ক্রিকেট খেলার সময় বোলিংয়ের পাশাপাশি উইকেটকিপিংও করেন। উইকেটকিপার এবং ওপেনিং ব্যাটার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন। মধ্যপ্রদেশের হয়ে কেরিয়ার শুরু করলেও সুযোগের অভাবে রেলওয়েতে যোগ দেন। এটাই তাঁর ক্রিকেট জীবনের টার্নিং পয়েন্ট।
