মাটির ওপরে শেওলার উপস্থিতি একটি ইতিবাচক লক্ষণ। শেওলা মাটির গুণমান উন্নত করে এবং অন্য উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে।
2
8
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, শেওলা কার্বন জমা রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আশপাশের খালি মাটির তুলনায় শেওলা মাটিতে অনেক বেশি পরিমাণে কার্বন ধরে রাখে।
3
8
এই গবেষণাটি বিশ্বের ১৬টি দেশের ৬০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানী একত্রে পরিচালনা করেছেন। অস্ট্রেলিয়া, স্পেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পরিবেশবিজ্ঞানীরা এতে অংশ নিয়েছেন।
4
8
শেওলা-আচ্ছাদিত মাটিতে বেশি পুষ্টি, দ্রুত জৈবপদার্থ পচন, এবং কম পরিমাণে মাটিজনিত রোগজীবাণুর উপস্থিতি দেখা যায়।
5
8
শেওলা ক্ষুদ্র আবহাওয়া বা মাইক্রোক্লাইমেট স্থিতিশীল করে, মাটিতে খনিজ ও কার্বন সরবরাহ করে এবং নিচের জীবাণুদের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে।
6
8
শেওলা বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় ৯.৪ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, যা কানাডা বা চীনের আয়তনের সমান—এটি শেওলার বৈশ্বিক প্রভাবকে স্পষ্ট করে তোলে।
7
8
শেওলা এমন পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে যেখানে অন্যান্য গাছপালা ব্যর্থ হয়—যেমন বালুকাময়, লবণাক্ত বা অনিয়মিত বৃষ্টিপাতপূর্ণ অঞ্চল।
8
8
বিজ্ঞানীরা বলছেন, শুধু শেওলা বা গাছ নয়, পৃথিবীর সব ধরনের উদ্ভিদ ও জলজ গাছপালার ভূমিকা বোঝা জরুরি, যাতে প্রকৃতিকে কাজে লাগিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়।