আজকাল ওয়েবডেস্ক: শারীরিক সম্পর্কের অংশ হিসেবে বহু মানুষই মুখমিলন বা ওরাল সেক্সে অংশ নেন। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, এই অভ্যাস থেকেই বাড়ছে মুখগহ্বরের ক্যানসারের ঝুঁকি। বিশেষ করে পুরুষদের মধ্যে এই প্রবণতা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বলেই সতর্ক করছেন গবেষকেরা।
2
8
১। বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখের ভিতরে, জিভে, গলায় এবং টনসিলে এই ধরনের ক্যানসার বেশি দেখা যাচ্ছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি।
3
8
২। এইচপিভি কীভাবে ছড়ায়? এটি এক ধরনের যৌনরোগ। ভাইরাসটি মূলত যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়। এই ভাইরাসের কয়েকটি প্রজাতি মুখগহ্বরে ক্যানসারের আশঙ্কা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
4
8
৩। ওরাল সেক্সের সময় এই ভাইরাস সহজেই এক শরীর থেকে আরেক শরীরে প্রবেশ করতে পারে। বিশেষ করে যদি মুখের ভিতরে ছোটখাটো ক্ষত বা দাঁতের রোগ থাকে, তাহলে সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়।
5
8
৪। এইচপিভি-১৬ এবং এইচপিভি-১৮ ভাইরাস মুখের কোষে সংক্রমণ ঘটায়। এই সংক্রমণ ধীরে ধীরে কোষ বিভাজনের গতি বদলে দেয়। দীর্ঘদিন এভাবে সংক্রমণ চলতে থাকলে তা ক্যানসারে রূপ নিতে পারে।
6
8
৫। পুরুষদের ঝুঁকি কেন বেশি? গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওরাল সেক্সে সক্রিয় পুরুষদের মধ্যে মুখের ক্যানসারের হার মহিলাদের তুলনায় অন্তত ৫ থেকে ৭ গুণ বেশি। তার মূল কারণ, পুরুষদের ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোগ ব্যবস্থা তুলনামূলক দুর্বল।
7
8
৬। লক্ষণ কী কী? এই ধরনের ক্যানসার প্রাথমিকভাবে সহজে ধরা পড়ে না। তবে কিছু লক্ষণ দেখা দিলেই সচেতন হওয়া জরুরি। যেমন- গলায় দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, গিলতে কষ্ট হওয়া, মুখের ঘা, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন, কানের যন্ত্রণা।
8
8
৭। প্রতিরোধে কী করণীয়? ৯–২৬ বছর বয়সের মধ্যে এই ভাইরাসরোধী টিকা নেওয়া গেলে ভবিষ্যতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। কনডম বা ডেন্টাল ড্যাম ব্যবহার করলে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই কমানো যায়। এবং সর্বোপরি কোনও অস্বাভাবিকতা অনুভব করলেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।