ট্রাম্পের অশান্তি বাড়িয়ে শান্তির জন্য নোবেল পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলনেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। মূলত, দেশে শান্তি ফেরানোর জন্যই তাঁকে বিবেচিত করেছে নোবেল কমিটি।
2
7
জানেন কে এই মারিয়া? ২০০২ সালে প্রথম রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিলেন মারিয়া। সেই সময় ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ছিলেন হুগো চাভেজ। তখন দেশদ্রোহিতা-সহ একাধিকবার মৃত্যুর হুমকিও পান।
3
7
কিন্তু মারিয়াকে টলানো যায়নি। ২০১০ সালে তিনি ভেনেজুয়েলার জাতীয় সংসদে বিপুল ভোটে জয়ী হন। ২০১৪ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। ২০১২ নাগাদ ডানপন্থী দল ‘ভেন্তে ভেনেজুয়েলা’ গঠন করেন।
4
7
২০১২ সালেই পানামা সরকারের তরফে ভেনেজুয়েলার পক্ষ থেকে কোরিনাকে সাখারভ প্রাইজ দেওয়া হয়। ২০২৪-২০২৫ সালে টাইমস ম্যাগাজিনে গোটা বিশ্বের ১০০ জন সবথেকে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় উঠে আসেন তিনি।
5
7
তবে বর্তমানে তিনি নিজের দেশেই নিষিদ্ধ। ভেনেজুয়েলায় বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা মাদুরো সরকার তাঁকে ১৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে।
6
7
জানা গিয়েছে, একের পর এক হুমকি পেয়ে বর্তমানে লুকিয়ে রয়েছেন মারিয়া। কিন্তু এর মধ্যেও ভেনেজুয়েলা জুড়ে তাঁর যে অবদান তা ভোলেনি কেউই। শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কারে মারিয়ার নাম ঘোষণা করা হল এদিন।
7
7
বর্তমানে আত্মগোপনে থাকা এই রাজনীতিককে ‘ভেনেজুয়েলার আয়রন লেডি’ নামেও পরিচিত করা হয়। নোবেল কমিটির মতে, মাচাদোকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে ‘ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় তাঁর অবিরাম সংগ্রামের’ জন্য এবং ‘একনায়কতন্ত্র থেকে ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্রে রূপান্তরের লড়াইয়ে সাহসী ভূমিকার’ স্বীকৃতি হিসেবে।