মা হতে চলেছেন তিনি, নিজেই জানতেন না বছর ৪৫-এর মহিলা। হঠাৎ করে মলত্যাগের বেগ আসায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই হঠাৎ জন্ম দিলেন সন্তানের
2
10
এমনই বিচিত্র একটি সন্তানপ্রসবের ঘটনা ঘটল কানাডার টরেন্টো শহরে।
3
10
ব্রিটেনের ব্রিস্টলের বাসিন্দা হেলেন এবং মিশেল গ্রিন টরেন্টোতে বেড়াতে গিয়েছিলেন ১০ দিনের জন্য। সেখানেই ২১ মে তারিখে একটি হোটেল রুম ভাড়া নেন তাঁরা।
4
10
রাত দুটো নাগাদ হেলেনের আচমকা ঘুম ভেঙে যায়। প্রাথমিক ভাবে তাঁর মনে হয়েছিল এটা সাধারণ পেট ব্যথা। সেই ভেবেই মলত্যাগ করতে যান তিনি।
5
10
কিন্তু মলত্যাগ করতে গিয়ে তাঁর মনে হয় কিছুতেই যেন পরিষ্কার হচ্ছে না পেট। এই অবস্থায় দু’বার প্রবল জোরে পেটে চাপ দেন তিনি। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হেলেন জানান, “আমি বুঝতেই পারিনি কী হচ্ছে। দ্বিতীয় বার জোরে চাপ দিতেই দেখি শিশুটি বেরিয়ে এসেছে।”
6
10
বিস্ময় এবং আতঙ্ক কাটিয়ে সন্তানকে তড়িঘড়ি কোলে তুলে নেন তিনি। নিজেই ফোন করেন অ্যাম্বুলেন্সে। ১০ মিনিটে হাজির হন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেখান থেকে দ্রুত মা এবং সন্তানকে নিয়ে যাওয়া হয় মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে।
7
10
এই নিয়ে তৃতীয়বার মা হলেন হেলেন। তবে এর আগের দু’বার সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ভাবেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এবার তিনি বুঝতেও পারেননি গর্ভাবস্থার কথা। কারণ তাঁর ঋতুস্রাব বন্ধ হয়নি।
8
10
বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ক্রিপটিক প্রেগন্যান্সি। এই ধরনের গর্ভাবস্থায় হবু মায়ের শরীরের ঋতুচক্র সম্পূর্ণ স্বাভাবিক থাকে। বিষয়টি এতই বিরল যে হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও চমকে ওঠেন।
9
10
প্রাথমিক বিহ্বলতা কাটিয়ে উঠে সদ্যোজাত কন্যাকে বরণ করে নিয়েছেন পরিবারের সবাই। পরিবারের তৃতীয় সদস্যকে নিয়ে উচ্ছসিত সকলে।
10
10
তবে আচমকা জন্ম হওয়ায় সদ্যোজাত শিশুর নাগরিকত্ব কী হবে তাই নিয়ে সামান্য বিতর্ক তৈরি হয়। অবশেষে সব বিতর্ক সামলে ব্রিটেনে ফিরে গিয়েছে গোটা পরিবার।