আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব সহ বিভিন্ন কারণে ইদানীং কম বয়সিরাও ক্রনিক রোগের খপ্পরে পড়ছেন। আর এই দুই রোগের জোড়া ফলকে হানা দেয় অনেক মারণ ব্যাধি।
2
8
ডায়াবেটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় ভুগলে প্রথম থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি। যার জন্য শুধু চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খাওয়া ছাড়াও ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে। আসলে ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফাইবার, ফ্যাটহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ সুষম খাবার গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। এর মধ্যে নিয়মিত কয়েকটি খাবার খেলে উপকার পাবেন।
3
8
আমলকিঃ আমলকিতে এমন পুষ্টিগুণ রয়েছে যা ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ করে। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আমলকি রক্তে শর্করার মাত্রা বশে রাখে, কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদরোগের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। খালি পেটে আমলকি খেলে মেটাবলিসম বাড়ে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।
4
8
কালোমরিচের গুঁড়ো দিয়ে দারচিনির জলঃ দারচিনি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে কার্যকরী। দারচিনির সঙ্গে গোলমরিচ যোগ করলে এই পানীয়র উপকারিতা আরও বেড়ে যায়। খালি পেটে এক গ্লাস দারচিনির জলের সঙ্গে এক চিমটে গোলমরিচ মিশিয়ে পান করলে রক্তে শর্করা এবং রক্তচাপ উভয়ই নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই মিশ্রণটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে এবং শরীরে প্রদাহ কমাতে বিশেষভাবে কার্যকর।
5
8
মেথি ভেজানো জলঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এটি একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। মেথি বীজে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে যা রক্তে শর্করার শোষণকে ধীর করে দেয় এবং শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। এক টেবিল চামচ মেথি বীজ রাতভর জলে ভিজিয়ে খালি পেটে পান করলেই উপকার পাবেন। রক্তচাপ কমাতেও এই পানীয়র ভূমিকা রয়েছে।
6
8
লেবুর রস দিয়ে হলুদের জলঃ হলুদের প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের কারণে, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য দুর্দান্ত উপকারী। হলুদের সক্রিয় যৌগ কারকিউমিন রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়। হলুদের জলে এক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে পান করলে হজমশক্তি বাড়ে এবং লিভারকে বিষমুক্ত করা যায়।
7
8
ফ্ল্যাক্স সিডঃ তিসির বীজ স্বাস্থ্যকর ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। যা খালি পেটে পান করলে খুব ভাল ফল পাবেন। রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ফ্ল্যাক্স সিড। তিসির বীজে থাকা উচ্চ ফাইবার কার্বোহাইড্রেটের হজম প্রক্রিয়ার গতি কমিয়ে রক্তে শর্করাকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে। জলে মিশিয়ে অথবা খালি পেটে স্মুদিতে যোগ করে তিসির বীজ খেতে পারেন।
8
8
টমেটো ও বেদানার রসঃ টমেটো ও বেদানা দুই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। যা হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। টমেটোতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট লাইকোপিন থাকেয। এটি কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, বেদানার রস রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং প্রদাহ কমায়। খালি পেটে টাটকা টমেটোর ও বেদানার রসের মিশ্রণ পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।