যারা পুরনো হরর সিনেমার ভক্ত, তাদের কাছে ব়্যামসে ব্রাদার্স মানেই এক নিখাদ নস্ট্যালজিয়া। ঘন কুয়াশা, গথিক প্রাসাদ, কড়কড় শব্দে খোলা দরজা, আর হঠাৎ চিৎকারে থমকে যাওয়া নিশুতি রাত -এইসব দিয়েই তারা গড়ে তুলেছিলেন ভারতীয় হররের এক সম্পূর্ণ রাজত্ব। আটের দশকে তারা বানিয়েছিলেন এক আলাদা সিনেমার ধারা, যেখানে ভয় মিশেছিল নাটকীয়তায়, কালো জাদু মিশেছিল কামুক রহস্যে। সিনেমা মানেই শুধু ভূত নয়, এক দৃশ্যবিস্ফোরণ—রক্ত, প্রতিশোধ, আর অন্ধকারে মোড়া প্রেমের গল্প। এই ভূত চতুর্দশীতে ফিরে দেখা যাক তাদের ভয়াল সব ক্লাসিক -
2
11
গেস্ট হাউজ (১৯৮০): একজন সাইকিক এসে ওঠে নির্জন গেস্ট হাউসে। লোভে অন্ধ কেয়ারটেকার তাকে খুন করে, কিন্তু ফেরা হয় এক কাটা হাতের! মৃত হাত ফিরে আসে প্রতিশোধ নিতে।
3
11
ঘুঙরু কি আওয়াজ (১৯৮১): ঠাকুর রণজিৎ উদ্ধার করে কাজলকে আর বিয়ে করে, কিন্তু সন্দেহ, মৃত্যু আর ভূতের ছায়া ঘিরে ফেলে জীবন। রেহা-র দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় ছিল ভয় আর মায়ার মিশেল প্রেম, প্রতারণা আর প্রতিশোধের ভূতুড়ে কাব্য।
4
11
হোটেল (১৯৮১): কবরস্থানের ওপর বিলাসবহুল হোটেল! অতিথিরা হারিয়ে যায়, ফোন বন্ধ, আর মাটি ফুঁড়ে উঠে আসে জোম্বির হাত! হরর, রোমান্স আর কমেডির মিশেলে এক রামসে ধাঁচের উন্মাদ আতঙ্ক।
5
11
সন্নাটা (১৯৮১): কুয়াশায় ঢাকা প্রাসাদে আসে এক দম্পতি। স্যুটকেসে পাওয়া যায় এক মৃতদেহ, মুখ পোড়া এক খুনি ঘোরে ছায়ায়। অতিথিরা একে একে খুন হয়। রক্ত, রহস্য আর ছায়ার গল্প।
6
11
পুরানা মন্দির (১৯৮৪): ব়্যামসে সাম্রাজ্যের মুকুট। অভিশপ্ত তান্ত্রিক সামরি এক রাজবংশে ফেলে যায় ভয়ংকর অভিশাপ। শতাব্দী পরে ফেরে তার অশুভ আত্মা। চোখ ধাঁধানো ভিজ্যুয়াল, হাড়-হিম করা সুর, আর ভারতীয় হররের আসল সংজ্ঞা।
7
11
তেহখানা (১৯৮৬): লোভে ভাঙা পরিবার ফিরে আসে পুরনো অট্টালিকায়। ভেতরে গুপ্তধন, কালো জাদু, আর দানবের ছায়া। পাল্পি হররের শুদ্ধ রক্তমিশ্রণ!
8
11
ডাক বাংলা (১৯৮৭): পুরনো ডাকবাংলোয় নবদম্পতি আর ঘুমন্ত এক অভিশপ্ত মমি! প্রাচীন অশুভের জেগে ওঠা আর ভয়াল রহস্যের মিশেলে ভৌতিক মিশ্রণ।
9
11
বিরানা (১৯৮৮): এক নারী, কামনা আর হত্যার বিভীষিকা। জ্যাসমিনের ভূতুড়ে অভিনয় আজও কিংবদন্তি। ভয় আর প্রলোভনের সীমানা ঝাপসা করে দেওয়া এক ক্লাসিক।
10
11
মহল (১৯৮৯): এক নির্জন দ্বীপে সাত অপরিচিত মানুষ, রহস্যময় উত্তরাধিকার, আর মৃত্যুর শৃঙ্খল। লকড-রুম মিস্ট্রি-র সঙ্গে বলিউড হররের দুর্ধর্ষ সংমিশ্রণ।
11
11
পুরানি হাভেলি (১৯৮৯): পুরনো প্রাসাদে গিয়ে এক দম্পতি মুক্ত করে দেয় গোপন দানব। করিডোরে কেঁপে ওঠে আতঙ্ক, ছায়ায় মৃত্যু। গথিক, রক্তাক্ত, আর নিখুঁত রামসে স্টাইলের ভয়।